বিসিএলের ফাইনালে ইস্ট জোনের মোকাবেলা করবে সাউথ জোন

0
271

খুলনাটাইমস স্পোর্টস : বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের (বিসিএল)ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ইস্ট জোন ও সাউথ জোন। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার শেষ হওয়া ফাইনাল রাউন্ডের শেষ দিনে ইস্ট জোন জয়লাভ করলেও ড্র করেছে সাউথ জোন। ইস্ট জোন প্রতিপক্ষ নর্থ জোনের বিপক্ষে আট উইকেটের সহজ জয় পেলেও সাউথ জোন ড্র করেছে সেন্ট্রাল জোনের সঙ্গে। গ্রুপ পর্বে ইস্ট জোন ২৩.৪৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হিসেবে এবং সাউথ জোন ১৯.৮৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে ফাইনাল ম্যাচ। এবারের ফাইনাল ম্যাচটিকে পাঁচ দিনের ঘোষনা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ইস্ট জোন বনাম নর্থ জোন ইয়াসির আলির জোড়া সেঞ্চুরি এবং নাঈম হাসানের ১৩ উইকেট শিকারে নর্থ জোনের বিপক্ষে আট উইকেটে জয়লাভ করে ইস্ট জোন। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ২নম্বর গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচের চতুর্থ ও শেষ দিনে আগের ৫ উইকেটে ১৪৫ রানের পুঁজি নিয়ে ব্যাটিং শুরু করা নর্থ জোন আর মাত্র ১২৪ রান যোগ করে ২৬৯ রানেই অল আউট হয়ে যায়। মুশফিকুর রহিম মাত্র ৩৮ রান করে আউট হয়ে গেলে নর্থ জোনের বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন মাহিদুল ইসলাম অংকন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন সঞ্জিত সাহা। ইস্ট জোনের হয়ে নাঈম হাসান ১০৭ রানে নেন ৮ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ১০১ রানে ৫টিসহ ম্যাচে মোট ১৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। নর্থ জোন ২৬৯ রানে অল আউট হয়ে গেলে জয়ের জন্য ইস্ট জোনের টার্গেট দাঁড়ায় ২১১ রান। ৮৮ বল মোকাবেলায় ইয়াসির আলির ১১০ রান দলকে সহজেই পৌঁছে দেয় জয়ের বন্দরে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া ইয়াসির আলি এর আগে প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করেছিলেন ১৬৫ রান। পরপর দুই ইনিংসের এই সেঞ্চুরিয়ানের বদৌলতে মাত্র ৩৪.৫ ওভারে জয়ের লক্ষ্য পুরণ করে ইস্ট জোন। সেঞ্চুরির পথে ইয়াসির আটটি বাউন্ডারী ও ৫টি ওভার বাউন্ডারী হাকিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে নর্থ জোন সংগ্রহ করেছিল ২৭২ রান। জবাবে সাউথ জোন সংগ্রহ করে ৩৩১ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে নর্থ জোন প্রথম ইনিংসের ঘাটতি কিছুটা পূরন করতে সক্ষম হলেও ইস্ট জোনের ব্যাটিংয়ের কারণে শেষ রক্ষা হয়নি। সাউথ জোন বনাম সেন্ট্রাল জোন সাউথ জোনের ‘হারের আগে হার নয়’ মানষিকতা নিয়ে লড়াইয়ের কারণে ৫০৭ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েও জয়লাভে ব্যর্থ হয়েছে সেন্ট্রাল জোন। সোমবার বিসিএলের গ্রুপ পর্বের ম্যাচের শেষ দিনটি সাউথ জন শেষ করেছে ৯ উইকেটে ৩৮৬ রান নিয়ে। ফলে ড্র হয় ম্যাচটি। আগের দিনের ৪ উইকেটে ১৫৯ রানের পুঁজি নিয়ে সোমবারকের ব্যাটিং শুরু করে সাউথ জোন। তবে কেউ ভাবতেও পারেনি ম্যাচটি ড্র হবে। দারুন মানষিক দৃঢ়তা দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ড্র করতে সক্ষম হয় সাউথ জোন। শুরতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন সামসুর রহমান শুভ ও নাসুম আহমেদ। তাদের ১৩৯ রানের পার্টনারশীপে হতাশা নেমে আসে সেন্ট্রাল জোনে। শেষ পর্যন্ত ১৩৩ রান করা সামসুরকে ফিরিয়ে দিয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ জুটিটি ভেঙ্গে দিলে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে সেন্ট্রাল শিবিরে। তবে নাসুম ছিলেন অজেয়। তিনি ২৪৬ বলের মোকাবেলায় ৮৬ রান করলেও নস্ট করে দেন সেন্ট্রাল জোনের গুরুত্বপুর্ন সময়। আরাফাত সানি নাসুমকে ফিরিয়ে দেয়ার পর ফরহাদ রেজা ১১ নম্বরে ব্যাট করতে আসা শফিউল ইসলামকে নিয়ে দিনের বাকী সময় পার করে দেন। ৯১ বলের মোকাবেলা করে ফরহাদ ২৭ রানে এবং ২৬ বলের মোকাবেলা করে শফিউল এক রান নিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। ম্যাচ ড্র করাতে ফাইনালে খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে সেন্ট্রাল জোন। কারণ ১১ পয়েন্ট পাওয়ায় গ্রুপ পর্বের পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থান লাভ করেছে তারা।