বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত

0
171

টাইমস ডেস্ক:
বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার ডাক অধিদফতর ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকেট এবং ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেছে। এ ছাড়া ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড প্রকাশ করা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গতকাল শুক্রবার বেইলি রোডের সরকারি বাসভবনের দফতর থেকে স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটা কার্ড প্রকাশ করেন। দিবসটি উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম ৯ অক্টোবর ঢাকা জিপিও’র ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে। পরবর্তী সময়ে দেশের সকল ডাকঘর থেকে এ স্মারক ডাকটিকেট বিক্রি করা হবে। উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিলমোহরের ব্যবস্থা আছে। ১৮৭৪ সালের এই দিনে সুইজারল্যান্ডের বার্নে ২২ দেশের অংশগ্রহণে গঠিত হয় ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপিইউ)। ইউনিয়ন গঠন করার দিনটি স্মরণীয় রাখতে সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৯৬৯ সালে ডাক ইউনিয়নের ১৬তম অধিবেশনে ৯ অক্টোবরকে বিশ্ব ‘ডাক ইউনিয়ন দিবস’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৪ সালে দিবসটির নাম পরিবর্তন করে ‘বিশ্ব ডাক দিবস’ রাখা হয়। বিশ্ব ডাক দিবসের কোনো নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য নেই। তবে উদ্বোধন, একাগ্রতা এবং অন্তর্ভুক্তি এই তিনটি স্তম্ভের ওপর এ বছর ইউপিইউ পোস্টার ডিজাইন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপিইউ) এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদস্য পদ অর্জন করে। এরপর থেকে দেশে প্রতি বছর বিশ্ব ডাক দিবস পালিত হয়ে আসছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বকে একটি গ্লোবাল হোমে পরিণত করেছে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রযুক্তি ডাকসেবা জনবান্ধব করতে ডাকঘর প্রযুক্তি-নির্ভর করতেই হবে। সেদিক বিবেচনায় দূরদৃষ্টিসম্পন্ন অবিসংবাদিত রাজনীতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার চলমান সংগ্রাম সফল করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় ডাক অধিদফতর সনাতনী পদ্ধতি থেকে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে। তিনি বলেন, ডাক অধিদফতরকে ইতোমধ্যেই ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে গ্রামীণ ৮ হাজার ৫০০ ডাকঘরকে ডিজিটাল ডাকঘর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যমান জনবলকে ডিজিটাল উপযোগী করে গড়ে তুলতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। তিনি বলেন, সরকারের গৃহীত কর্মসূচির ফলে এক সময়ে অস্তিত্বের সংকটে পড়া ডাকঘর আজ জনগণের কাছে অত্যাবশ্যকীয় হিসেবে গড়ে উঠেছে।