বিভিন্ন মহলের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত খুলনাকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে কেডিএ

0
246

টাইমস প্রতিবেদক:
খুলনাকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একের পর এক গুরুত্বপূর্ন রাস্তা, শিল্প এলাকা, আবাসিক এলাকা, বানিজ্যিক প্লট, মার্কেট, বাসটার্মিনাল এর মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করে খুলনার উন্নয়ন কার্যক্রমকে তরান্বিত করেছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চলমান কার্যক্রম ও সাম্প্রতিক পরিকল্পনাসমূহ এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য কিছু বিষয় সকলের কাছে তুলে ধরার প্রয়াসে কেডিএ কর্তৃক এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেছেন কেডিএ’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আব্দুল মুকিম সরকার, পিবিজিএম, এনডিসি, পিএসসি।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে খুলনার প্রাণকেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সকল স্থাপনাই খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দ্বারা বাস্তবায়িত প্রকল্পের উপর নির্মিত। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়িত ও প্রকল্পের দ্বারাই খুলনা শহরের মূল অর্থনৈতিক চাকা গতিশীল রয়েছে। অর্থাৎ খুলনার মূল স্থাপনাসমূহের স্থাপনাই কেডিএ’র দ্বারা সৃষ্ট।
গত এক বছরের মধ্যে কয়েকটি প্রকল্পের কিছু সমস্যা সমাধান করে বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘খুলনা শীপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্থকরন এর অধিগ্রহণ সমস্যা সমাধান ও জউচচ অনুমোদন করে টেন্ডার প্রক্রিয়াকরণ, ময়ূরী আবাসিক এলাকার সকল টাকা পরিশোধকারীদের নিকট লটারীর মাধ্যমে প্লট হস্তান্তর, খুলনা শহরের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তিনটি রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু করা (১. নিরালা আ/এ হতে সিটি বাইপাস, ২. খুলনা বিশ^বিদ্যালয় হতে রায়েরমহল এবং ৩. পুরাতন সাতক্ষীরা হতে বাস্তুহারা লিংক রোড ইত্যাদি), শেখ রাসেল সিভিক সেন্টার প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে সংশোধিত ডিপিপি প্রেরন, সরকারী অর্থায়নে নতুন একটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন এর জন্য ডিপিপি প্রেরন, নিউমার্কেটের পাশে বিপনি বিতান নির্মাণের জন্য সংশোধিত ডিপিপি প্রেরণ, কেডিএ’র নিজস্ব অর্থায়নে মুজগুন্নি আবাসিক এলাকায় জিমনেসিয়ামসহ সুইমিং কমপ্লেক্স নির্মাণ এর জন্য ডিপিপি প্রেরন ইত্যাদি। কেডিএ’র একটি রেস্ট হাউজ প্রকল্পের কাজ ও প্রায় সমাপ্তের পথে।
¬¬পরিকল্পনাধীন আরও প্রকল্পের মধ্যে খুলনা সিটি আউটার বাইপাস রোড (ভৈরব নদীর পূর্ব দিকে) ও ফুলবাড়ি রেলক্রসিং এ ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রায় শেষ পর্যায়ে নেয়া হয়েছে। ময়ূরী আবাসিক এলাকা ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্ধবর্তী অংশে অপরিকল্পিত এলাকাকে পরিকল্পিত আবাসিক এলাকায় রুপান্তর এর কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান বলেন, বিদ্যমান কেডিএ আন্তঃজেলা বাসটার্মিনালটি সময়পোযোগী করে চালুর জন্য ২০/২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। মুজগুন্নি পার্ক শীঘ্রই সংস্কার শেষ করে জনগণের হাটাহাটির জন্য ছেড়ে দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তর পশ্চিম পাশের খালি জমি অধিগ্রহণ করে উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে।
কেসিসি প্রতিনিধি জানান, এম এ বারী সড়ক লিংক রোডটি ব্রীজ পর্যন্ত কেসিসি মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে খুলনাকে পরিকল্পিত নগরীতে পরিবর্তনের জন্য বহুলাংশে কেডিএ’র ভূমিকা আরও বৃদ্ধি পাবে।
মতবিনিময় সভায় কেসিসি’র চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, উপ-পুলিশ কমিশনার রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান মাসুদ, কেডিএ’র সচিব ড. মোহাম্মদ শাহানুর আলম (উপসচিব), প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোঃ সাবিরুল আলম, খুলনা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, বিভাগীয় বাস মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল গফফার বিশ্বাস, খুলনা মটর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মুজিবর রহমান, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা-সহ কেডিএ’র কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।