বাগেরহাটে আদলত অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখল, গাছ কাটা ও মাছ লুটের অভিযোগ

0
146

বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের ফকিরহাটে আদালতের নির্দেষ উপেক্ষা করে এক নারীর জমি দখল, গাছ কাটা, পুকুরের মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে। নিজের জমি ফিরে পেতে এবং দখলকারীদের বিচারের দাবিতে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফকিরহাট উপজেলার ছোট বাহিরদিয়া গ্রামের শেখ আব্দুল জব্বারের স্ত্রী হেনা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে হেনা বেগম বলেন, বাহিরদিয়া মৌজায় বিভিন্ন দলিলে ১ একর ৮২ শতক জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছিলাম। ওই জমি বিক্রেতাদের ওয়ারেশ হিসেবে পরিচয়দানকারী বাহিরদিয়া গ্রামের মৃত আর্শ্বাদ খার ছেলে আলম খা ও তার বাহিনী স্থানীয় পাগল সমিতি নামে একটি সমিতির সহায়তায় ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর আমাদের ভোগ দখলীয় জমি জবর দখল করে। এসময় তারা ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার গাছপালা ও পুকুরের মাছ লুটে নিয়ে যায়। এই ধরণের জোরপূর্বক কাজে বাহিরদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ও ইউপি সদস্য লেয়াকাত আলী তাদেরকে সহযোগিতা করেছেণ। জমি দখলের সাথে সাথেই বিভিন্ন লোকের কাছে আলম খা ওই জমি বিক্রি শুরু করে। নিরুপায় হয়ে জমি ফিরে পেতে ২০১২ সালে বাগেরহাট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। ২০১৮ সালের ২০ আগস্ট ওই মামলায় আমরা ডিগ্রি প্রাপ্ত হই। সার্ভে কমিশন আমাদের জমি বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীদের কারনে আমরা জমির দখল নিতে পারিনি। তিন মাস আগে জমিতে পুনরায় বেড়া দিতে গেলে প্রতিপক্ষরা আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের পরিবারের ৩-৪ জন আহত হয়। এই বিষয়ে মামলা হলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা থানা পুলিশের উপর প্রভাব বিস্তার করে। বাহিরদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ও ইউপি সদস্য লেয়াকাত আলী আমাদেরকে বারবার হুমকী দিচ্ছে। বছর পাচেক আগে চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ও ইউপি সদস্য লেয়াকাত আলী আমাদের বেধে রেখে গাছ কেটে নিয়ে যায়।এই অবস্থায় জমি ফিরে পেতে এবং আদালতের রায় কার্যকর করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন হেনা বেগম।
এ বিষয়ে বাহির দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। মামলা চলমান কোন জমিতে আমাদের প্রভাব বিস্তারের কোন সুযোগ নেই। এটা আদালতের বিষয়, আদালতের মাধ্যমেই সমাধান হবে। আমার বিষয়ে হেনা বেগম যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।