বাংলাদেশ ফোয়াব’র পরিচিতি, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

0
740

নিজস্ব প্রতিবেদক,খুলনা টাইমস :
দেশের গ্রামীণ জনপদের বিপুল মানব সম্পদকে বাস্তবিক পরিকল্পনার ভিত্তিতে কাজে লাগিয়ে তাদের দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের মৎস্য খাতকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ‘ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ফোয়াব)’ এর সভাপতি মোল্লা সামছুর রহমান (শাহীন) জানান, ফোয়াব আত্মপ্রকাশ করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
দেশের সকল খামারী সহ মৎস্য খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল স্তরের লোকবল এবং মৎস্য খাতের উন্নয়নের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমূহের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা ও স্বোচ্ছার থাকার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। উপকুলবর্তী অঞ্চল সমূহসহ দেশের সকল প্রান্তে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনমূখী এবং রপ্তানীমূখি মৎস্যখাতের উন্নয়নে নতুন দিগন্তের উম্মোচন এবং গ্রামীন জনগোষ্ঠির জীবন জিবীকার মান বৃদ্ধি, বেকারত্ব দূরকরণ, দেশের আপামর জনসাধারনের আমিষের চাহিদা পূরণ সহ নিরাপদ মৎস্য উৎপাদনে ফোয়াব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে। তবে অত্যান্ত গুরুত্বের সাথে উল্লেখ্য যে, বানিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনমূখি মৎস্য ও চিংড়ী চাষে উপকুলবর্তী অঞ্চল সমূহের সর্বোচ্চ অবদান থাকার স্বত্বেও এ অঞ্চলের মৎস্য খাতের সামগ্রীক উন্নয়নে চোখে পড়ার মত কোন কর্মসূচি এযাবৎকাল পর্যন্ত উল্লেখযোগ্যভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। ফলে জাতীয় মোট রপ্তানীতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ২য় অবস্থানে থেকেও বিগত বছরগুলোতে জাতীয়ভাবে চিংড়ী উৎপাদন বৃদ্ধির হার কোন ভাবেই আশাব্যঞ্জক পর্যায়ে উন্নীত হয়নি। ৭০ দশেকে এ দেশের অভ্যান্তরিন জলাভূমির পরিমান ছিল ৯৩ লক্ষ হেক্টর, কিন্তু মানবসৃষ্ট নানামূখি বিরুপ কার্যক্রমে প্রাকৃতিক কারণ এবং বাস্তবসম্মত উন্নয়নমুখি পরিকল্পনা গ্রহণ না করায় এর পরিমান বর্তমানে মাত্র ২৮ লক্ষ হেক্টরে এসে দাড়িয়েছে। অর্থাৎ বিগত ৩ দশকের অধিক সময়ের মধ্যে জলাভূমির পরিমান কমেছে ৬৫ লক্ষ হেক্টর। পূর্বে আমাদের দেশে সাদু লবন পানিতে ২৬৬ প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত। সেখানে বর্তমানে দেশী প্রজাতির বিভিন্ন মাছ বিলুপ্ত হওয়া সহ আরো ৫৪ প্রজাতির মাছ আশংকাজনকভাবে বিপন্ন প্রায়। এই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে মৎস্য খাতকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেওয়ার উদ্দ্যেশ্যে ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ ফোয়াব নামে এই এসেসিয়েশন গঠণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চাষীদের সমন্বয়ে গঠিত ফোয়াব বেসরকারী বাণিজ্যিক সংগঠন দিন দিন সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ১৯৯৪ সালেরর কোম্পানী আইনের ২৮ ধারার অধীনে এবং ১৯৬১ সালের ট্রেড অর্গানাইজেশন অর্ডিন্যান্স এর অধীনে নিবন্ধিত। ১৯১৩ সালে সংগঠনটি নিবদ্ধিত হয় এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাসট্রিজ (এফবিসিসিআই) বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধিনে ফিসারী প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এফপিবিপিসি) এবং এগ্রো ফুড ই-াষ্ট্রিজ স্কিল কাউন্সিল (আইএসসি) সদস্য পদ গ্রহণ করা হয়। এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা ২১ জন।
সংঘ স্মারক :
* দেশের সব ধরনের মৎস্য ও চিংড়ী খামার মালিক, মৎস্য উৎপাদনকারী এবং মৎস্য উৎপাদনকারী হ্যাচারীর মালিক ও মৎস্য উৎপাদনের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠান মালিকদের অধিকার রক্ষা, পরিবেশ সম্মত মাছের পোনা উৎপাদন ও মাছ চাষকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ, মৎস্য, চিংড়ী খামার ও চাষীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সুখি সমৃদ্ধশীল দেশ গড়ার জন্য দারিদ্র দূর করতে মাছ চাষে উৎসাহিত করা, মাছ চাষের সঙ্গে জড়িতদের প্রশিক্ষন দেওয়া, মালিকদের অধিকার রক্ষার পাশাপাশি মাছ চাষের জন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচিতে সহায়তা করা ইত্যাদি সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য।
এছাড়া দেশের সব ধরনের মৎস্য ও চিংড়ি খামার মালিক, মৎস্য পানা উৎপাদনকারী হ্যাচারি মালিক এবং মৎস্য ও চিংড়ি উৎপাদনের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠান মালিকদের ও এই খাতের ব্যবসায়ীগণের বাণিজ্যিক স্বার্থ সর্ম্পকে সরকারী আদেশ মোতাবেক স্বার্থ সংরক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহণ, সতর্ক দৃষ্টি রাখা ও সামগ্রিক ব্যবসায়ীক উন্নতি সাধনের কার্যক্রম গ্রহণ করা সদস্যদের উৎপাদিত মাছ ও চিংড়ির নায্য মূল্যে পৌছে দিতে বিক্রয় কেন্দ্র বা সার্ভিসিং সেন্টার স্থাপন করা। পরিশে সম্মত মাঝের পোনা উৎপাদন ও চিংড়ি চাষকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ, মৎস্য হ্যাচারি মালিক ও মাছ চাষীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার জন্য দারিদ্র দূর করতে মাছ ও চিংড়ি চাষে উৎসাহিত করা।
মাছ ও চিংড়ি চাষের সংগে জড়িতের প্রশিক্ষণ দেয়া :
* মৎস্য ও চিংড়ী খামার খাতের উৎপাদনকারী ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা। * মৎস্য ও চিংড়ী খামার খাতের ব্যবসায়ীগণের ব্যবসা সংক্রান্ত সকল তথ্য ও খবর সদস্যদের মধ্যে প্রচার করা। * মৎস্য চিংড়ি খামার উৎপাদনকারীদের খাতে ব্যবসায়ীগণের সুবিধার জন্য বিধি বিধান গ্রহণ ও প্রণয়নে সরকারকে সহযোগিতা করা। * মৎস্য ও চিংড়ী খামার খাতের ব্যবসায়ীদের, বই, ম্যাগাজিন এবং অন্যন্য ধরনের প্রকাশনাসমূহে বাংলাদেশের ব্যবসা সংক্রান্ত আর্টিকেল প্রকাশ করা। * মৎস্য ও চিংড়ী খামার খাতের ব্যবসীয়গণের ব্যবসার সহিত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য এ্যাসোসিয়েশন সমূহের মধ্যে আন্তরিকতাপূর্ণ সর্ম্পক সৃষ্টি করা। * মৎস্য ও চিংড়ী উৎপাদনকারী খাতের ব্যবসায়ীগণের নায্য দাবী সরকারের তথা পরিদপ্তরে পেশ করা ও তা আদায়ের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। * পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক সিদ্ধান্ত নিয়ে এসোসিয়েশনের ফান্ডের জমানো অর্থ প্রয়োজনে লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করা। * ব্যবসায় অনৈতিক আচরণ জাতীয় স্বার্থে নির্মূল করার উদ্দেশ্যে সক্রিয়ভাবে কাজ করা। * এসোসিয়শেনর লক্ষ্য সমূহ বজায় রাখিয়া চাঁদা, অনুদান ইত্যাদিক গ্রহণ করা এবং এসোশিয়েসন যদি আবশ্যক মনে করেন সেরূপ উদ্দেশ্যে তহবিল সৃষ্টি করা এবং উহা বিনিয়োগ করা। * যে কোন ভূমি বা দালানখরিদ বা অন্য সূত্রে লাভ করা অথবা উক্ত অঙ্গনে দালান বা দালান সমূহ এসোসিয়েশনের নিমিত্তে নির্মাণ করা। * এসোসিয়েশনের প্রয়োজনে ঋণ গ্রহণ অথবা এসোসিয়েশন কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত ও নিয়মে অর্থ সংগ্রহ করা, বিশেষত, সমিতি সকল অথবা কোন নির্দিষ্ট সম্পত্তির উপর চার্জ সৃষ্টি করিয়া অর্থের সংস্থান করা। * মৎস্য ও চিংড়ি উৎপাদনকারীর ব্যবসায়ী খাতের বিষয়ে সরকারি নীতিসমূহ পর্যালোচনা এবং সরকারকে নীতি প্রণয়নে সহায়তা প্রদান করা। * এসোশিয়েশন অথবা উহার সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানের যে কোন প্রতিষ্ঠানে স্বার্থ সংরক্ষন সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে চূড়ান্ত নিস্পত্তির লক্ষে সমিতি, সরকার অথবা জাতী, আইনগত অনুরুপ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহিত যোগাযোগের মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এসোসিয়েশনের স্বার্থে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে এসোসিয়েশনের সদস্যদের স্বার্থের পরিপন্থী যদি কোন আইন প্রণয়ন অথবা প্রণয়নের সম্ভাবনা প্রতিয়মান হয়, এক্ষেত্রে প্রতিনিধি প্রেরণ কতর: উক্ত আইন প্রণয়নের সহায়তা করা। * এসোশিয়েশনের লক্ষ্যসমূহ অথবা উহার কোন অংশ লক্ষ্যরূপে নির্ধারণ করিয়াছে এরূপ অন্যান্য সোসাইটি, সমিতি ফার্ম, কর্পোরেশন, কোম্পানী, পার্টনারশীপ, ফার্ম অথবা ব্যক্তিগণকে সাহায্য প্রদান করা অথবাা তাহাদের নিকট হইতে অনুরূপ সাহায্য গ্রহণ করা। * এসোসিয়েশনের তহবিল হইতে উন্নয়ন স্থাপন এর রেজিস্ট্রেশনের সকল ব্যয়, চার্জ এবং খরচ সমূহ প্রদান করা। * অতীতের কোন প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অত্র প্রতিষ্ঠানের ন্যায় একইরূপ ছিল অথবা বর্তমানে আছে এইরূপ অপর সমিতি শেয়ার, স্টক, ডিবেঞ্চার ক্রয় অথবা অন্যরূপে গ্রহণ করা। অত্র এসোশিয়েশনের কোন দাতব্য অথবা কল্যাণের উদ্দেশ্যে দাতা যে রূপ জনগণের উপকারের নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যে নির্ধারণ করিয়া দিয়াছেন সে রূপ নির্দেশিত লক্ষ্যে অথবা যে ক্ষেত্রে দাতা কোন লক্ষ্য নিদিষ্ট করিয়া যান নাই সে ক্ষেত্রে সাধারণ সভায় যে রূপ নির্ধারিত হইবে সে রূপ দানকৃত অর্থ সিকিউিরিটি সমূহ স্টক এবং শেয়ার সমূহের প্রয়োগ অথবা ভ্যয় নির্বাহী করা হইবে। * মৎস্য ও চিংড়ি খামার মালিক বা উৎপাদনকারী খাতের ব্যবসায়ীগণের ব্যবসা বাণিজ্যের সমন্বয় এবং সুরক্ষার উদ্দেশ্যে সরকারি এবং অনুরূপ অন্যান্য সংস্থার সহিত বাংলাদেশ এবং বিদেশে অনুরূপ সংস্থার সহিত যোগাযোগ স্থাপন করা। * উপরোক্ত উদ্দেশ্যেসমূহ বাস্তবায়নের সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদ দেশের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বযে কিংবা শুধু এক বা একাধিক মৎস্য ও চিংিড়ি খামার মালিকগণের সমন্বযে পরিচালনা পর্ষদ নির্ধারণ করিবে। * সদস্যদের জীবন মানের উন্নয়নের জন্য পোশগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে। * সদস্যদের কল্যাণের জন্য তহবিল গঠনের উদ্দেশ্যে সদস্যের মধ্যে বা সদস্য বহিবর্ভূত যে কোন সংস্থা বা ব্যক্তির নিকট হইতে চাঁদা গ্রহণ অনুদান গ্রহণ এবং যে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং উক্ত তহবিল উপযুক্ত সদস্যদের মধ্যে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিতরণ করা যাবে। * দেশী-বিদেশী তফসিলি ব্যাংক/বাণিজ্যিক ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান/ সংস্থা থেকে সদস্যরা প্রয়োজনে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারবে। এসোসিয়েশনের উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ দেশী-বিদেশী অন্য যে কোন সংগঠন যারা এসোসিয়েশনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে আগ্রহী, সে সকল সংগঠন, সংস্থা, প্রতিষ্ঠানকে সহযোগি হিসেবে এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা। পক্ষান্তরে অন্য কোন সংগঠন যদি নীতিগতভাবে তাদের সদস্য পদ প্রদানে আগ্রহী হয়, তবে সেই সংগঠনের সদস্য পদ গ্রহণ করা। * সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এবং দেশের উন্নয়নের সঠিক তথ্য ও কার্যক্রম প্রকাশের লক্ষ্যে সরকারী বিধি মোতাবেক, পোষ্টার, লিফলেট, স্টিকার, ফোল্ডার, নিউজলেটার, পত্রিকা, বুলেটিন, ম্যাগাজিন, সংবাদচিত্র, ভিডিও ডকুমেন্টারী ফ্লিম ইত্যাদি প্রকাশ ও প্রচারের ব্যবস্থা কর।
সংঘ বিধি :
* এই সংঘবিধিতে উল্লেখিত বিধানসমূহ কোম্পানী আইনের ৭ম তফসিলে বর্ণিত প্রবিধানসমূ এসোসিশেনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। * বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কি না থাকিলে অত্র আর্টিকেল বর্নিত শব্দ সমূহ বর্নিত অথবা বিধিবদ্ধভাবে উক্ত আইনে বা উহার সংশোধনীতে সংজ্ঞায়িত শব্দসমূহ বুঝাইবে এবং একবচন শব্দসমহূ বহুবচন বুঝাইবে এবং অনুরূপ বহুবচন ব্যবহৃত হইলে উহা একবচন বুঝাইবে এবং পুংলিঙ্গ বাচক শব্দে স্ত্রী লিঙ্গকেও বুঝাইবে। * দেশের সবধরণের মৎস্য ও চিংড়ি খামার মালিক ও মৎস্য উৎপাদনকারী এবং মৎস্য পোনা উৎপাদনকারী হ্যাচারী মালিক ও মৎস্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত যে কোন প্রতিষ্ঠানের মালিক যিনি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মৎস্য ও চিংড়ি চাষ করেন বা মৎস্য পোনা উৎপাদন করেন তাহারা অত্র এসোসিয়েশনের সদস্য হইবার জন্য উপযুক্ত বিবেচিত হইবে।
সদস্য পদ :
দেশের সবধরনের মৎস্য ও চিংড়ি খামার মালিক ও মৎস্য উৎপাদনকারী এবং মৎস্য পোনা উৎপাদনকারী হ্যাচারি মালিক ও মৎস্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত যে কোন প্রতিষ্ঠানের মালিক যিনি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মৎস্য ও চিংড়ি চাষ করেন বা পোনা উৎপাদন করেন তিনি সমিতির সদস্য হইতে পারবেন তবে তাকেঅবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং তার খামারের ট্রেড লাইসেন্স অথবা কোম্পানী নিবন্ধন থাকতে হবে। তাহাদের আবেদন সাপেক্ষে এসোসিয়েশনের ভর্তি ফিস ও বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ করত তিনি বা তাহারা সমতির সদস্য হইতে পারিবেন।
* এসোসিয়েশেনে কেবল মাত্র দুই শ্রেণীর সদস্য থাকিবে যাহাদিকগকে আজীবন সদস্য ও সাধারণ সদস্য বলা হইবে। * সাধারণ সদস্য পদের জন্য ভর্তি ফিস৫,০০০ (পাঁচ হাজার টাকা) ও মাসিক চাঁদা ২০০ (দুইশত) টাকা যা পরিচালনা পর্ষদ সময়ে সময়ে এসোসিয়েশনের স্বার্থে প্রয়োজন হইলে বৃদ্ধি করা যাইবে।
সদস্যদের অর্ন্তভূক্তি :
* সদস্য পদ লাভের জন্য প্রত্যেক প্রার্থীকে ভর্তি ফি ও মাসিক চাঁদা সহ এসোসিয়েশনের সভাপতি বরাবরে নিদৃষ্ট ফরমে আবেদন করিতে হইবে। * এসোশিয়েশনের সদস্য হওয়ার যোগ্য প্রতিষ্ঠান অবশ্যই বাংলাদেশে অবস্থিত যে কোন মালিকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকিবে। * মৎস্য, চিংড়ি ও মৎস্য পোনা উৎপাদনকারী খামার খাতের ব্যবসায়ীগণ প্রত্যেকেই অত্র এসোসিয়েশনের সদস্য হইতে বাধ্য থাকিবেন। ঘ. পরিচালনা পর্ষদ সময়ে সময়ে নিয়ন্ত্রন আরোপ সাপেক্ষে প্রত্যেক সদস্যই এসোসিয়েশনের হিসাব এবং অন্যান্য দলিলাদি পরীক্ষা করিতে পারিবেন। * এসোসিয়েশনের সদস্যগণ অত্র আর্টিকেলে নিয়মানুসারে এসোসিয়েশনের সকল চাঁদা এবং অন্যান্য প্রদেয় অর্থ পরিশোধে বাধ্য থাকিবেন। * সদস্যগণের ধারা পালনের উদ্দেশ্যে এসোসিয়েশনের বিশেষ সাধারণ সভা আহবানের মাধ্যমে ইহার সংঘস্মারকও সঙ্ঘবিধিতে নতুন কোন কিছু সংযোজন, সংশোধন অথবা পরিবর্তন করা যাইবে। এক্ষেত্রে সরকারের পূর্বে জমা করা হইবে।
দাবী সমূহ :
* চাষযোগ্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন জমি প্রশিক্ষিত বাণিজ্যিক খামারীদের বন্দোবস্ত দিতে জাতীয় মৎস্য ও চিংড়ি নীতিমালায় অর্ন্তভুক্ত করতে হবে। * জলবায়ুর প্রভাব ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ইতিমধ্যে ঘটে যাওয়া ক্ষয়ক্ষতি থেকে উত্তোরনের জন্য দেশের মৎস্য খাতের সাথে জড়িত প্রকৃত খামারীদের জন্য আপদকালিন ফান্ড গঠন ও প্রণোদনা হিসেবে বিঘা প্রতি (৩৩ শতাংশে) যুক্তিযুক্তভাবে সহায়তা প্রদান করতে হবে। * উপকূলবর্তী অঞ্চল সমূহে ও অন্যান্য অঞ্চলে উৎপাদিত মৎস্য সরবরাহের পূর্বেই মান নিশ্চিত করনে বাজার বা সার্ভিস সেন্টার স্থাপন । * অঞ্চলের অশুভ চক্রের খপ্পর থেকে মৎস্য খাতকে রক্ষার্থে এই অঞ্চল সমূহের সাধারণ মানুষের জীবন-জিবিকা সহজসাধ্য করার লক্ষে অবিলম্বে উপকুলবর্তী বদ্ধ জলমহলগুলোর ডাক বাতিল করতে হবে। * মৎস্য হাসপাতাল স্থাপন করতে হবে,মৎস্য খামারীদের জন্য নুন্যতম বিদ্যুৎ বিল নির্ধারন করতে হবে । * জাতীয় রাজস্ব আয় বৃদ্ধির স্বার্থে টেসিবিলিটি বাস্তবায়নে এনবিআরকে রিটার্ন দাখিলকারীকে ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ ফোয়াব এর সনদ বাধ্যতামূলক করতে নির্দেশনা প্রদান করতে হবে। * অধিক মৎস্য ও চিংড়ি চাষ এলাকায় হিমাগার নির্মাণ করতে হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত (লীফ)দের প্রকল্প শেষে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা । * দেশের সকল পর্যায়ে তথা জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা সমূহে মৎস্য ও চিংড়ী সম্পদের উন্নয়নমূলক ব্যবস্থাপনা কমিটিতে ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ ফোয়াব সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং তাদের বাস্তবভিত্তিক মতামত গ্রহণ করে সকল প্রকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। * সদস্য পদ লাভের জন্য প্রত্যেক প্রার্থীকে ভর্তি ফি ও মাসিক চাঁদা সহ এসোসিয়েশনের সভাপতি বরাবরে নিদৃষ্ট ফরমে আবেদন করিতে হইবে। * এসোশিয়েশনের সদস্য হওয়ার যোগ্য প্রতিষ্ঠান অবশ্যই বাংলাদেশে অবস্থিত যে কোন মালিকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকিবে। * মৎস্য, চিংড়ি ও মৎস্য পোনা উৎপাদনকারী খামার খাতের ব্যবসায়ীগণ প্রত্যেকেই অত্র এসোসিয়েশনের সদস্য হইতে বাধ্য থাকিবেন। ঘ. পরিচালনা পর্ষদ সময়ে সময়ে নিয়ন্ত্রন আরোপ সাপেক্ষে প্রত্যেক সদস্যই এসোসিয়েশনের হিসাব এবং অন্যান্য দলিলাদি পরীক্ষা করিতে পারিবেন। * এসোসিয়েশনের সদস্যগণ অত্র আর্টিকেলে নিয়মানুসারে এসোসিয়েশনের সকল চাঁদা এবং অন্যান্য প্রদেয় অর্থ পরিশোধে বাধ্য থাকিবেন। * সদস্যগণের ধারা পালনের উদ্দেশ্যে এসোসিয়েশনের বিশেষ সাধারণ সভা আহবানের মাধ্যমে ইহার সংঘস্মারকও সঙ্ঘবিধিতে নতুন কোন কিছু সংযোজন, সংশোধন অথবা পরিবর্তন করা যাইবে। এক্ষেত্রে সরকারের পূর্বে জমা করা হইবে।
উপসংহার :
দেশের সকল বিভাগের মৎস্য ও চিংড়ী সম্পদের কার্যকর শ্রেণীবিন্যাস ও অঞ্চলিকরণ করে অঞ্চলভিত্তিক সম্পদ সংশ্লিষ্ট সমস্যাদি চিহ্নিত করার পাশাপাশি সমস্যার কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করা মৎস্য ও চিংড়ী সম্পদ উন্নয়নের স্বার্থে অত্যাবশ্যক। দেশের মৎস্য খাতের উপর প্রায় ১১ শতাংশ মানুষের জীবন জিবিকা নির্ভর করে। যার মর্ধে অধিকাংশ মানুষই গ্রামীন জনপদে বসবাস করে। তাছাড়া আপামর জনগনের আমিশির চাহিদা পূরণে ও উল্লেখযোগ্য হারে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এই শিল্পটি অনেক আগে থেকেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সর্বশেষে নদী বিধোত আমাদের এই প্রান প্রিয় মাতৃকাকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পরিনত করার লক্ষে ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ ফোয়াব মৎস্য সম্পদকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে সরকার ও বেসরকারী যৌথ নেত্রীত্বে সমস্যাদী চিহ্নিত করে সমাধানে মৎস্য ও চিংড়ী সম্পদ উন্নয়ন সম্ভব। আসুন আমরা মৎস্য ও চিংড়ী সম্পদ উন্নয়নের স্বার্থেই ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ ফোয়াব এর সাংগঠনিক নেতৃত্বে দেশাত্ববোধ চেতনায় সরকারী বেসরকারী উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।