বনদস্যুদের আত্মসমর্পণের শেষদিন ১ নভেম্বর : ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী থাকবেন

0
423

নিজস্ব প্রতিবেদক
১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বনদস্যুদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে পক্রিয়া শেষ হতে যাচ্ছে বলে র‌্যাব সুত্র জানিয়েছে। সকাল ১০টার দিকে বাগেরহাটের সদরের এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে সরাসরি ভিডিও বার্তায় উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া স্বারষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। দক্ষিন অঞ্চলের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত পৃথিবীর একক বৃহত্তম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে অবস্থিত এ বন দেশের ঐতিয্য বহন করে চলেছে। সুন্দরবনকে ঘিরে এসকল জেলার উপকুলীয় অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ যুগ যুগ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

বর্তমান সরকারের ঘোষণা মোতাবেক র‌্যাপিড এ্যাকশান বাটালিয়ন (র‌্যাব)’র উদ্যোগের কারনে বনজীবীদের কাছে ভয়ঙ্কর বন এখন ধীরে ধীরে অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে সুন্দরবনের জলদস্যু-বনদস্যুদের আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে পাল্টে যাচ্ছে সুন্দরবনের চিত্র। তাছাড়া সরকারের নানা পরিকল্পনায় সুন্দরবন বিশ্বের পর্যটন বাজারে আরও মনমুগ্ধকর রুপে হাজির হতে যাচ্ছে। আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যু-বনদস্যুদের পুনর্বাসনে ‘সুন্দরবনের হাসি’ প্রকল্পের উদ্বোধন চলতি বছরের গত ১২জুন আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করা হয়েছে। এতে করে সুন্দরবনের বনদস্যুরা সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে দ্রুততার সাথে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে।

র‌্যাব সুত্র আরও জানায়, এ পর্যন্ত সর্বমোট ২৬টি বাহিনীর ২৬৪ জন জলদস্যু, ৩৭৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৮ হাজার ৮শ’ ৪ রাউন্ড গোলাবারুদসহ সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুগণ অপরাধের পথ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় তারা সমাজের অন্যান্য অপরাধী ও বিপদজনক জনগোষ্ঠীর সামনে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বনদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে র‌্যাবকে সহায়তা করেছেন যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মোহসিন উল হাকিম, নিউজ টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের রিপোর্টার আশিকুর রহমান শ্রাবন ও খুলনার সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান।

র‌্যাব সুত্র আরও জানায়, আত্মসমর্পণকৃত সাবেক এসকল জলদস্যু পরিবারের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষে র‌্যাব কর্তৃক ‘সুন্দরবনের হাসি’ (প্রস্তাবিত) প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যুদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।