ফুড পয়েজিংয়ে একই পরিবারের মা-সন্তানসহ ৫ জন গুরুত্বর অসুস্থ

0
867

নিজস্ব প্রতিবেদক: দোকান থেকে কুলসুম নামক লাচ্চি সেমাই রান্না করে খাওয়ার পর একই পরিবারের মা-সন্তানসহ ৫ জন গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার (২২ অক্টোবর) খুলনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে এদের মধ্যে তিন জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ঘটনাটি নগরীর শিপইয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালের সুত্র জানায়, ভুক্তভোগীদের বক্তব্য অনুযায়ী ২১ অক্টোবর স্থানীয় দোকানী থেকে কুলসুম নামক প্যাকেটের লাচ্চা এনে বাসায় রান্না করেন। এ সময় ওই রান্না লাচ্চি মোফাজ্জেল হাওলাদারের কন্যা রাত্রি (৯), কনা (৫), নিশি (১৩) ও তার স্ত্রী শামছুন্নাহার (৩২) খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদের মধ্যে শিশু কন্যা রাত্রি , কনা ও সোহানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বাকী দুইজনকে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাঃ নিপা রানী ঘোষ বলেন, খাদ্য মাধ্যমে কোন আননোন পয়েজিং থাকায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। যারা চিকিৎসা নিতে আসেন সবাই একাধিকবার বমি করছেন। ফুড পয়েজিং থাকায় তারা এখনো আশংকামুক্ত নয়। কারণ ২৪ ঘন্টা না গেলে তাদেরকে আশংকামুক্ত বলা যাবে না। এদের মধ্যে তিন জন শিশু থাকায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিশি বলেন, তিনি স্থানীয় শহিদুল স্টোর শহিদুলের দোকান থেকে রাতে কুলসুম নামক লাচ্চি প্যাকেট সেমাই ও মিজানের দোকান থেকে চিনি ও দুধ কিনে নিয়ে আসেন। বাসায় আনার পর রাতে লাচ্চি সেমাই রান্না হলে আমরা তিন ভাই বোন খাওয়ার পর বমি বমি ভাব ও মাথায় ঘুরাচ্ছিলো। নিশি বলেন, আমি লাচ্চি খাওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যে চোখ মুখে অন্ধকার দেখি। পা ফেলতে পারছিলাম না। মা শামছুন্নাহার বলেন, আমি মনে করছি ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন সময় বাইরে ভাজা পোড়া খেয়ে হয়তো পেট খারাপ করতে পারে। কিন্তু সকালে আমি ওই রান্না লাচ্চি খাওয়ার পর আমারও একাধিকবার বমি এবং মাথা ঘুরায় ফেলায় দেয়। তিনি বলেন, যারাই এই রান্না লাচ্চি খেয়েছে তারাই অসুস্থ হয়ে পড়েন।