ফকিরহাটে যৌতুকের টাকা না দেয়ায় নির্যাতনের শিকার

0
338

ফকিরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ফাতেমা আক্তার শায়েলা(২১)নামের এক গৃহবধু নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানার পশ্চিম নিজরা গ্রামের নুরুল অমীন মিয়ার পুএ মো:হাফিজুর রহমানের সাথে বাগেরহাট জেলার ফকিরহট থানার অট্রাকা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক এর কন্যা ফাতেমা আক্তার শায়লা ২৩-০২-২০১৭ তারিখে বিবাহ সম্পন্ন্ হয়। বিবাহের সময় ৪ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসাবে গ্রহন করে। বিয়ের ১৫ দিন পরে স্ত্রীকে মারধর করে জোর পূর্বক তার শাশুড়ী,ননদ ও শ্বশুর মিলে গহনা বিক্রি করতে বাধ্য করে।তারপর আবার একটি মটর সাইকেল দাবি করে, মটর সাইকেল না দেওয়ায় আবারো মারধোর করে,ঘুমানো অবস্থায় বালিশ চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।এছাড়া তার স্বামী হাফিজুর রহমান বিভিন্ন নেশা করা সহ পরকিয়ায় লিপ্ত বলে দাবি স্ত্রী শায়লার। শায়লার স্বামী বর্তমানে ডিবি পুলিশে কর্মরত আছে।যেহেতু সে পুলিশের চাকুরি করেন সেই সুবাদে ভয় দেখিয়ে এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে স্ত্রী শায়লাকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়।যখন যৌতুক না দিতে পারে তখনই শুরু করে শায়লার উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন।এমন কি কয়েক বার মেরে ফেরার ও চেষ্টা করা হয় শায়লাকে।এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার তাকে তার বাপের বাড়ি বাগেরহাটরে ফকিরহাটে এসে শারিরীক নির্যাতন শুরু করে পুলিশ কনস্টেবল হাফিজুর রহমান।নির্যাতনের এক পর্যায়ে শায়লা অচেতন হয়ে পড়লে তার বাপের বাড়িল লোকজন তাকে সেখান থেকে এনে ফকিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।বর্তমানে শায়লা ফকিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।শায়লার পরিবারের দাবি তাদের মেয়েকে স্বামী রুপি পাসান্ড স্বামীরকে বিচারের আওতায় আনা হোক।যেন আর কোন মেয়েকে এ ধরনের নির্যাতনের শিকার না হতে হয়।