প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় খুলনার ৪ নারী চিকিৎসক সিআইডির হাতে আটক

0
137

টাইমস প্রতিবেদক:
মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় খুলনা থেকে আরও চার নারী চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ নিয়ে ওই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ১২ জন চিকিৎসক আটক হলেন।
খুলনায় আটক চার চিকিৎসককে গত শুক্রবার ঢাকায় নিয়ে এসেছে সিআইডি। তাঁরা হলেন লুইস, নাদিয়া মেহেজাবিন তৃষা, মুত্তাহিন হাসান লামিয়া ও শর্মিষ্ঠা। তাঁদের মধ্যে চিকিৎসক শর্মিষ্ঠা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক। অন্যরা বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখেন।
সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান রবিবার সন্ধ্যায় বলেন, মেডিকেল প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আরও কয়েকজন চিকিৎসককে দুই জেলা থেকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আটক চিকিৎসকদের বিষয়ে আজ সোমবার সিআইডি বিস্তারিত জানাবে।
সিআইডি আটক করলেও খুলনা বিএমএর সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম জানান, ওই চার চিকিৎসক নিখোঁজ রয়েছেন। সিআইডি তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি। তবে আটক চিকিৎসকদের পরিবার জানিয়েছে, সিআইডি তাঁদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আটক চিকিৎসক মুত্তাহিন হাসান লামিয়ার মা ফেরদৌসী আক্তার বলেন, সিআইডি চারজনকে আটকের বিষয়টি তাঁদের জানিয়েছে। চিকিৎসক নাদিয়া মেহেজাবিন তৃষার মায়ের মোবাইল ফোনে কল দিলে তুষার নামের একজন ধরেন। তিনি জানান, তিনি নাদিয়ার ভাই। খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাঁদের জানিয়েছেন, তাঁর বোনকে সিআইডি আটক করেছে।
এ ব্যাপারে খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন চিকিৎসকদের আটকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিআইডি বিস্তারিত জানাবে।
এই চারজনকে আটকের দিনই গত শুক্রবার খুলনার মেডিকেল ভর্তি কোচিং ‘থ্রি ডক্টরস’-এর উপদেষ্টা ডা. ইউনুস উজ্জামান খান তারিমকেও আটক করে সিআইডি। তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) খুলনা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। প্রায় দেড় যুগ ধরে তিনি মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত।