পাইকগাছায় অবরুদ্ধ-৭জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ

0
207

কপিলমুনি প্রতিনিধি:
পাইকগাছার দেলুটিতে এক পক্ষের রেকর্ড ও অন্য পক্ষের নিলাম খরিদ বুনিয়াদে প্রায় ১৭৫ বিঘা জমি নিয়ে সৃষ্ট দীর্ঘ দিনের বিবাদের জের ধরে গণডিডকারী ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে প্রতিপক্ষের ৭ জন অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অবরুদ্ধদের উদ্ধারপূর্বক উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পরষ্পর দাবি নিয়ে পাইকগাছায় একটি চিংড়ি ঘের দখলকে কেন্দ্র করে গণডিডের মালিক ও এলাকাবাসী ৭ জনকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের মাগুরা-দেলুটি মৌজায়। পুলিশ উভয়পক্ষকে শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, শনিবার দুপুরে পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়নের মাগুরা-দেলুটি মৌজার বিবাদমান প্রায় ১৭৫ বিঘা জমির চিংড়ি ঘেরে এস, এম, মাহবুবুর রহমানের পক্ষে লোকজন দেলুটির রবীন্দ্র নাথ সরকার, লাবনী সরকারসহ স্থানীয়দের দখলীয় সম্পত্তি ফের দখল করতে যায়। এ সময় এলাকাবাসী বাঁধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিপুলা সরকার, নিলিমা সরকার ও লাবনী সরকার নামে এক শিশু আহত হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাহবুবুর রহমানের পক্ষের ৭জনকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অবরুদ্ধদের উদ্ধার করে এবং উভয়পক্ষকে থানায় আসার জন্য বলে। শনিবার বিকেলে এ ঘটনায় উভয় পক্ষকে নিয়ে বসাবসির এক পর্যায়ে ওসি মোঃ এজাজ শফী বলেন, যেহেতু বিষয়টি জায়গা-জমি সংক্রান্ত তাই,উভয় পক্ষকে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে যাওয়ার পরামর্শ ও একই সাথে শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখতে উভয় পক্ষকে নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে এস, এম, মাহবুবুর রহমান বলেন, তারা নিলাম খরিদা মালিকদের কাছ থেকে ডিড নিয়েছেন। সে অনুযায়ী তারা দখল নিতে ঘটনাস্থলে যান।
অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ সরদার রেকর্ডীয় জমির মালিক দাবি করে বলেন, মাগুরা-দেলুটি মৌজায় ১৭৫ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সাবেক সংসদ সদস্য উভয়পক্ষের মধ্যস্থতায় মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ঐ জমি সমভাগে বন্ঠন করে দেন। সে মোতাবেক ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষরা পেশী শক্তির বলে সমুদয় সম্পত্তির জবর দখল নিতে চাইলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় এলাকাবাসী মাহবুবুর রহমানের পক্ষের জনৈক মোস্তফা, মোবারেক, মাহবুব, রহমত সানা, হেলাল উদ্দীন, মাহমুদ ও হাফিজুর রহমান সানাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
প্রসঙ্গত, চলতি চিংড়ি উৎপাদন মৌসুমে পাইকগাছায় দীর্ঘ দিনের ঘের মালিক ও জমি মালিকদের মধ্যে নতুন করে ইজারার মেয়াদ না বাড়াতে, নিজেদের জমিতে নিজেরা ঘের পরিচালনাসহ প্রভাবশালী ঘের মালিকদের হাত থেকে পৈত্রিক সম্পত্তির দখল ফিরে পেতে বিভিন্ন এলাকায় গণডিডের ঘটনা মারাত্নকভাবে বেড়ে গেছে। এনিয়ে হামলা, মামলা-পাল্টা মামলাসহ আন্দোলন-সংগ্রামের ঘটনাও ঘটছে।