নগরীর পাবলায় ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগকারী বিএনপি নেতা গ্রেফতার

0
161

নিজস্ব প্রতিবেদক
সোমবার (৫ ফেব্রæয়ারি) রাত ১০ টা ৪৫ মিনিটে কেএমপি’র দৌলতপুর থানাধীন মিনাক্ষী সিনেমা হলের সামনে ইদগাঁহ মাঠ হতে থানা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ ইমাম হোসেন(৪৩), পিতা-মৃত: হাবিবুর রহমান, সাং-আঞ্জুমান রোড, থানা-দৌলতপুর, জেলা-খুলনাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করলে তিনি ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানকালে গ্রেপ্তারকৃত আসামি অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত পরিকল্পনা, ভোটের পরিবেশ নষ্ট করা, ভোট বর্জন করার কর্মকাÐ সম্পাদনের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে জবানবন্দী প্রদান করেন। এ সময় তিনি জাতীয় নির্বাচকালীন ভোট বর্জন, নির্বাচন প্রতিহত করা এবং ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার পরিকল্পনাকারী, বাস্তবায়নকারী ও সহযোগী সকলের নাম প্রকাশ করেন। তন্মধ্যে গত ২২ জানুয়ারি-২৪ আসামী মোঃ রিয়াজুল ইসলাম(২৫), পিতা-মোঃ বিল্লাল হোসেন, সাং-পাবলা দক্ষিণ কারিকর পাড়া, থানা-দৌলতপুর, জেলা-খুলনাকে ইং গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া গত (৮ জানুয়ারি) ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আসামী ১) মোঃ নুর ইসলাম ওরফে বাচ্চু(৫০), পিতা-মৃত: মোকছেদ আলী মিয়া, সাং-বাংলাদেশ বস্ত্রলয় দৌলতপুর বাজার, থানা-দৌলতপুর, জেলা-খুলনা এবং ২) মোঃ শামীম আজাদ খান৥মিলু(৪৮), পিতা-মৃত: সেলিম খান ওরফে আনসার আলী, সাং-দৌলতপুর খাঁ পাড়া, থানা-দৌলতপুর, জেলা-খুলনাদ্বয়কে গ্রেফতারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এমন ঘৃণ্য, দেশদ্রোহী, গণতন্ত্র বিরোধী, নাশকতাকারী, অগ্নি-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার হাতে অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে কেএমপি বদ্ধপরিকর।
উল্লেখ্য যে, গত ৭ জানুয়ারি-২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দৌলতপুর থানাধীন পাবলা দক্ষিণ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৯ নং ভোট কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার আগের রাতে গণতন্ত্রের শত্রু নাশকতাকারী স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী শক্তি ও তার দোসরেরা মিলে অগ্নিসংযোগ করে। জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করা, মানুষকে আতঙ্কগ্রস্থ করা, শান্তিকামী মানুষকে ভোট দানে বিরত রাখা ও দেশের ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বের কাছে ক্ষুন্ন করার জন্য এহেন ঘৃণ্য চক্রান্ত বাস্তবায়ন করা হয়। এতে নির্বাচনী সামগ্রী ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের কক্ষগুলো পুড়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতি সাধিত হয়। তথাপিও সকল বাধা উপেক্ষা করে, উক্ত কেন্দ্রেই যথাসময়ে যথা নিয়মে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করা হয়। ঘটনার পর কেন্দ্র ইনচার্জ মোঃ নুরুল ইসলাম(৪০), পিতা-মোঃ নজরুল ইসলাম, সাং-গৃধর নগর, থানা-কেশবপুর, জেলা-যশোর (এপি সাং-প্রিন্সিপাল অফিসার, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, দৌলতপুর কর্পোরেট শাখা, খুলনা) অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। এ সংক্রান্তে দৌলতপুর থানার মামলা নং-২, (৭ জানুয়ারি-২৪) রুজু হয়।