নগরীর পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ১৩জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার বাদি হাবিবুরের বিরুদ্ধে প্রতারনার নানা অভিযোগ

0
366

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নগরীর সদর থানার পাঁচজন পুলিশ সদস্যসহ ১৩জনের বিরুদ্ধে আদালতে লিখিত আরজি দাখিল করেছেন জোড়াগেট এলাকার মৃত মোঃ আবু তাহের মিঝির ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান মিঝি। আদালত উক্ত অভিযোগটি তদন্তের জন্য কেএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগ ডিবিকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এদিকে এ অভিযোগের বাদি হাবিবুর রহমান মিঝির বিরুদ্ধে নানা ধরনের প্রতারনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার দ্বিতীয় স্ত্রী হিরা আক্তারসহ আরও ২/৩জন গতকাল মঙ্গলবার মুঠোফোনে এ অভিযোগ জানান। এধরনের লিখিত অভিযোগ এর আগেও তিনবার করা হয়েছে বলে জানান তারা। তবে আদালতের নির্দেশে সংশি¬ষ্ট তদন্তকারী সংস্থা হাবিবুরের এসকল অভিযোগের কোন সত্যতা পায়নি।
গত ১০ অক্টোবর ৪র্থ দফায় খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (খালিশপুর) আমলী অঞ্চলে হাবিবুর রহমান লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। তার পক্ষে ফাইলিং আইনজীবী ছিলেন শেখ মিজানুর রহমান। আদালতের বিচারক তরিকুল ইসলাম অভিযোগটি তদন্তের জন্য কেএমপি’র ডিবি শাখাকে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই অভিযোগে বিবাদীরা হলেন, হাবিবুরের দ্বিতীয় স্ত্রী হিরা আক্তার, হিরা আক্তারের ভাই মোহাম্মদ আলী শেখ, পাবলা এলাকার মোঃ মনিরুল শেখ, কেসিসি’র ৯নংওয়ার্ডের কাজী মোঃ মোতাসিম বিল¬াহ (অরাফাত), মোছাঃ হাজেরা চৌধুরী, দক্ষিণ টুটপাড়া এলাকার মোঃ বজলুর রহমান শেখ, গোয়ালখালী এলাকার রেহেনা বেগম, সদর থানার এসআই সাইদুর রহমান, এসআই জুয়েল রানা, এএসআই মোঃ রিপন শেখ, এএসআই মোঃ ইয়ার আলী, কনস্টেবল তানিয়া সুলতানা ও দক্ষিণ টুটপাড়া এলাকার মোসাঃ মাহফুজা বেগম। বাদির লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৫অক্টোবর অভিযুক্ত বিবাদীরা তার কাছ থেকে জোর পুর্বক নানা ধরনের কাগজে সই স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন।
এঘটনা সম্পর্কে এ অভিযোগের ১নং বিবাদী হিরা আক্তার জানান, হাবিবুর রহমানের সাথে ২০১৮ সালে তার বিবাহ হয়। বিয়ের পর হাবিবুর তার কাছ থেকে নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ডের সাড়ে ৯লাখ টাকা ব্যবসার কথা বলে ধার নেন। এছাড়া দু’টি ট্রাক বিক্রি করে ৪০লাখ টাকা নেন। বিয়ের ১৫/২০দিন পরে তিনি জানতে পারেন হাবিবুরের প্রথম স্ত্রী রয়েছে। এরপর হাবিবুর তার সাথে আর কোন যোগাযোগ না করে আত্মগোপন করেন। কয়েকদিন পর তিনি জানতে পারেন নগরীর টুটপাড়া এলাকার এক গৃহবধুকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে টাকা-পয়সা স্বর্নালঙ্কারসহ পালিয়ে যায় হাবিবুর। ঘটনার তিনদিন পর খালিশপুরস্থ শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই গৃহবধুকে অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় হাবিবুর রহমান মিঝিকেও গ্রেফতার করা হয়। ওই ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বজলুর রহমান শেখ মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় সদর থানা পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
তিনি আরও জানান, হাবিবুর রহমান মিঝি নিজেকে অবিবাহিত বলে বিভিন্ন নারীর সাথে প্রতারনা করে টাকা পায়সা হাতিয়ে নিয়ে সর্বশান্ত করে দেন। তার এই অপকর্মের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবন্ধকতা সুষ্টি করে তাদেরকে আদালতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করেন। এ নিয়ে ৪/৫টি অভিযোগ তিনি আদালতে দিলেও তা তদন্তে মিথা বলে প্রমানিত হয়েছে।
এবিষয়ে অভিযোগের বাদি হাবিবুর রহমান মিঝি বলেন, আমার বিরুদ্ধে হিরা আক্তার ৪০লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চেক ডিজঅনার মামলা করেছেন। আমিও তার বিরুদ্ধে খুলনার আদালতে গত বছর মামলা করেছি। হিরা আক্তার তার স্ত্রী নয় এবং আদালতে তার দেয়া অভিযোগ সত্য বলে দাবি করেন তিনি।