দেবহাটা রুপসী ম্যানগ্রোভের পিচের কাজ পরিদর্শনে প্রকৌশলী অধিদপ্তরের বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক

0
344

আব্দুর রব লিটু: দেবহাটা রুপসী ম্যানগ্রোভের রাস্তায় দূর্ভোগমুক্ত হওয়ার পথে দর্শনার্থীরা। পিচের কাজ পরিদর্শনে প্রকৌশলী অধিদপ্তরের বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক ।পরিদর্শনকালে কাজে সন্তোষ প্রকাশ।বাংলাদেশ-ভারতের সিমান্তবর্তী নদী ইছামতির তীরে গড়ে উঠা দেবহাটা রুপসী ম্যানগ্রোভের যোগাযোগ ব্যাবস্থা ছিল অত্যন্ত নাজুক। যার জন্য দর্শনার্থীদের প্রতিনিয়ত দূর্ভোগ পোহাতে হত।এ সব কথা বিবেচনা করে যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল করতে এখানকার প্রধান রাস্তাটিতে পিচের ব্যবস্থা করেন প্রশাসন। আর এ কাজ পরিদর্শনে আসেন খুলনা বিভাগীয় এলজিইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খলিফা আবুল কালাম আজাদ। সোমবার দুপুর ১ টার দিকে তিনি বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে উক্ত রাস্তা নির্মানের কাজ সরেিেজমন পরিদর্শন করেছেন। সম্প্রতি জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত দেবহাটার ইছামতি নদীর কুল ঘেষে গড়ে উঠা রূপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রের অবকাঠামোগত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে শিবনগর এলাকার শফিকুল হাজীর বাড়ি থেকে পর্যটন কেন্দ্র পর্যন্ত ২.৫ কিলোমিটার সড়কটি এলজিইডির অধীনে গত বছর থেকে কাজ শুরু করা হয়। কাজটি নির্মানের দায়িত্ব পায় সাতক্ষীরা তালা উপজেলার মেসার্স রোশনি ইন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজটি সম্পন্নের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় ২ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। গত শনিবার থেকে এই রাস্তাটির কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে পর্যটন কেন্দ্রে যাতায়াতে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল পর্যটকদের। রাস্তাটির কার্পেটিং শেষ হলে উপজেলা সদর থেকে স্বল্প সময়ে সুশীলগাতী হয়ে ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রে পৌছাতে সময় ও ঝামেলা দুটোই কমবে পর্যটকদের। এই জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তাটির কার্পেটিংয়ের কাজ সরেজমিনে দেখতে সোমবার খুলনা বিভাগীয় এলজিইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খলিফা আবুল কালাম আজাদ আসেন। এসময় তার সাথে খুলনা বিভাগীয় এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা, সাতক্ষীরা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ^জিৎ কুমার কুন্ডু, এলজিইডির খুলনা অঞ্চলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের, দেবহাটা এলজিইডির প্রকৌশলী রথীন্দ্রনাথ কুমার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সেলিম হোসেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার তপন চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে খুলনা বিভাগীয় এলজিইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খলিফা আবুল কালাম আজাদ রাস্তাটি নির্মানে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ইছামতি নদীর ভেড়ীবাধ সংলগ্ন রাস্তা নির্মানে কিছু দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।