দেবহাটা নাংলা-ছুটিপুর সীমান্ত দিয়ে আসছে মাদক ও গলদা রেনু,গরুসহ অবৈধ মালামাল

0
278

দেবহাটা প্রতিনিধি: পার্সপোট লাগেনা, ভিসা লাগেনা অবাধে চলে ভারতে যাতায়াত। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে স্থানীয় ভাষায় কথিত ঝাপানো পার্সপোটে চলছে এসব ব্যবসা। দেবহাটা নাংলা, বসন্তপুর ছুটিপুর সীমান্ত দিয়ে আসছে মাদক ও নফড়ী,গরুসহ অবেধ বিভিন্ন পন্য সামগ্রী। করোনা ছড়ানোর আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর। দেবহাটা নাংলা-ছুটিপুর সীমান্ত দিয়ে আসছে মাদক,গলদারেনু, নফড়ীসহ বিভিন্ন অবৈধ মালামাল।সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস নামক ঘাতক ব্যাধি থেকে দেশকে রক্ষা করতে যখন পুলিশসহ প্রসাশনের কর্মকর্তরা ব্যস্ত তখন উপজেলার নাংলা, বসন্তপুর ছুটিপুর এলাকার কিছু প্রভাবশালীর ছত্র ছায়ায় মাদক ব্যবসায়ী ও চোরা কারবারীরা সক্রীয়। যাদের এক দেশ থেকে আর এক দেশের সিমানা অতিক্রম করতে লাগেনা কোন পার্সপোর্ট ভিসা। অবাধে ইছামতি নদী পার হয়ে চলে যায় ভারত সিমান্তে। রাতের আধারে পারাপার করে নিয়ে আসে মরন ঘাতক নেশার সামগ্রী মাদক, গলদারেনুসহ বিভিন্ন অবৈধ মালামাল। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো যারা যাতায়াত করে তাদের লাগেনা পার্সপোর্ট বা ভিসা। এর পরেও স্থানীয়দের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু দিন পুর্বে তারা পারিনি প্রশাসনের নজর এড়াতে। তাদের বাড়িতে টানিয়ে দেওয়া হয়েছিল হোম কোয়ারেন্টাইনের চিহ্নিত লাল পতাকা। তবে থেমে নেই অবৈধ চোরা কারবারীদের ব্যবসা। আর এ সব অভিযোগ করেছে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েক জন ব্যক্তি। বিষয়টির সত্যতা খুজতে গত ৩রা জুন বিকালে যাওয়া হয় ঐ এলাকায়। সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়,উপজেলার সিমান্তবর্তী দক্ষিন নাংলা গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র মোরসেলিম, একই গ্রামের জোমাত আলীর পুত্র জাহিদুল এবং দীন আলীর পুত্র শরীফুল মাল আনার জন্য অবৈধ ভাবে ভারতে অবস্থান করছে। তবে তাদের পরিবারের পক্ষে ভারতে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। তাছাড়া মাদক আনতে যাওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তা অস্বীকার করে বলে তারা গরু আনতে গেছে। তারা সুযোগ বুঝে প্রায়ই সিমান্তবর্তী নদী ইছামতি সাঁতরীয়ে ভারত থেকে অবৈধ মালামাল নিয়ে আসে বলেও জানায় একটি সুত্র। এছাড়া একই এলাকার জিয়াদ আলীর পুত্র আদর আলী,আনছার মন্ডলের পুত্র রফিকুল,সাহামোত আলীর পুত্র মাজেদ প্রতি নিয়ত ভারতে যেয়ে অবৈধ মালামাল পারাপার করে বলে জানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর একজন।তা ছাড়া এদের মধ্যে দুই একজন এসব কারনে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনও শেষ করেছেন বলে জানাযায়। এমন পরিস্থিতিতে ঐ এলাকায় চলে করোনা আতঙ্ক। এ ব্যাপারে বিজিবি’র খানজিয়া ক্যাম্প কমান্ডার আসলাম হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার ফোনটি বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি।