দেবহাটায় জনবসতি এলাকায় ফসলি জমিতে প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে অবৈধ ইট পাঁজা নির্মানের অভিযোগ!

0
194

দেবহাটা প্রতিনিধি: প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করেই দেবহাটায় কৃষি জমিতে একের পর এক গড়ে তোলা হচ্ছে ইট ভাটা। এতে করে ক্রমে কমছে কৃষি জমি। উৎপাদন কম হচ্ছে কৃষি পণ্য। এভাবে চলতে থাকলে দেখা দিতে পারে খাদ্য সংকট। তেমনই দেবহাটা উপজেলার হাদিপুর পানিরকল এলাকায় ফসলী জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে একটি ইট পাঁজা। এতে নষ্ট হতে বসেছে ফসলি জমি ও পাশ্ববর্তী জনবসতি এলাকার পরিবেশ। তবে এ অবৈধ ইট পাঁজা নির্মানকারীরা বলছেন সব কিছু প্রশাসন জানেন। তাই কোন কিছুই হবে না তাদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের পানিরকল মোড়ের পূর্বপাশ্বে একটি ফসলী জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বানিজ্যিক ইট পাঁজা। যে খান থেকে ইট পুড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ ইট পাঁজা পোড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন গাছের কাঠ। যা পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে অনুমোদনহীন এ ইট পাঁজার কালো ধোয়া আশেপাশের জমির ফসল ও ফলজ-বনজ গাছের উপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। আরো জানা গেছে, স্থানীয় আব্দুল গফ্ফারের ছেলে বাবলু গাজী ও রেজাউল নামের ২ ব্যক্তি প্রথমে নিজেদের প্রয়োজন দেখিয়ে ইট পাঁজা নির্মান করেন। বিষয়টি এলাকাবাসী স্বাভাবিক ভাবে নিলেও তারা পর পর কয়েকবার একই স্থানে ইট পাঁজা পুড়িয়ে যাচ্ছেন। এতে পরিবেশের সমস্যা দেখা দিলে তারা প্রতিবাদ করে। কিন্তু বাবলু ও রেজাউল বিষয়টি ম্যানেজ করে পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ইট পোড়ানোর জন্য পাঁজা প্রস্তুত কাজ চলমান রয়েছে। তার পাশে রাখা আছে জ্বালানি কাঠ। তবে যে স্থানে ইট পোড়ানোর কাজ চলছে। তার তিন পাশে ধান, আখ, সবজি সহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত ও বসতবাড়ি রয়েছে। তাদের এই অবৈধ অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাদের কোন বাধা না মেনে ইট পাঁজা নির্মান করে চলেছে। প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন জন আসেন আর দেখে চলে যান। অবৈধ ইট পাঁজা বন্ধ করতে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন না। তবে এবার ইট পোড়ানোর জন্য আগুন জালানো হলে তারা নিজেরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে প্রতিকার চাইতে যাবেন বলেও জানান তারা।
এবিষয়ে বাবল গাজী জানান, ইট পেড়াতে তাদের কোন অনুমোদন বা কাগজপত্র নেই। তবে তারা যা করছেন সব প্রশাসন জানেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
দেবহাটা থানার সেকেন্ড অফিসার ও নওয়াপাড়া বিট পুলিশিং কর্মকর্তা এসআই নয়ন চৌধুরী জানান, এ ধরনের অবৈধ ইট পাঁজা নির্মানের বিষয়ে জানা নেই। যদি কেউ পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন অপকর্ম করে সে বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার জানান, বিষয়টি প্রশাসনের জানার বাহিরে। তবে এটি সম্পূর্ণ অবৈধ। তিনি আরো জানান, আমি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টি খোঁজ নিব এবং জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করব।