দিনাজপুরের পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই গড়ে উঠেছে ইট ভাটা

0
810

নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : জনস্বাস্থ্য ও জনবসতি পরিবেশের মারাতœক ক্ষতি জেনেও থেমে নেই অবৈধ ইট পোড়ানোর ব্যবসা। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার জনবসতি, তিন ফসলি উর্বর আবাদি জমি এমনকি সংরক্ষিত বন এলাকার ভেতরেও পরিবেশের কোন প্রকার ছাড়পত্র ছাড়াই ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ইট ভাটা । সরকারের কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এবং সরকারী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ফসলি জমি ও আবাসিক এলাকা এবং বোনের ভিতর গড়ে তোলা হয়েছে এসব বাণিজ্যিক ইট ভাটা। যত্রতত্র গড়ে উঠা ইট ভাটা গুলোতে বে-আইনিভাবে পোড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির ঔষধি , ফলজ ,ও বনজ কাঠ। এর ফলে মারাতœকভাবে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশ হারাচ্ছে তার জীব বৈচিত্র।
উপজেলায় বনের ভেতর, আবাসিক এলাকা ও ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটা নিয়ে চলছে শুভঙ্করের ফাঁকি। তারা আইন না মানায় একদিকে বনের গাছ নিধন হচ্ছে, অন্যদিকে গ্রামীণ রাস্তাঘাট ভেঙ্গে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। সেই সাথে ভাটার মালিকরা জমির উর্বর মাটি ও পরিবেশ দূষণে ব্যাপক হারে ক্ষতি হচ্ছে। এতে করে কৃষি ফসল উৎপাদন একসময় হুমকির মুখে পড়তে পারে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ইট প্রস্তুত ও ভাটা (নিয়ন্ত্রণ) আইনে ফসলি জমি , আবাসিক এলাকায় এবং বন সংলগ্ন জমিতে ইটভাটা না করা বিধান থাকলেও নবাবগঞ্জের অধিকাংশ ইট ভাটা মালিক তা অমান্য করে নিষিদ্ধ এসব এলাকায় গড়ে তুলেছেন অবৈধ ইট ভাটা। এর পাশাপাশি ভাটা গুলোতে কয়লা পোড়ানোর সরকারি নিষেধ-বিধি অমান্য করে কিছু ভাটা জালানি হিসেবে কাঠ পুড়ে থাকে।এবিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ই্উএনও) মো. মশিউর রহমান জানান, ইত্যোমধ্যেই যেখানেই অবৈধভাবে উত্তলনের চেষ্টা করা হবে সেখানেই জোরালো অভিযান।সম্প্রতি রামপুর এলাকায় ১৩০ ফিট অবৈধভাবে নির্মিত ইটাভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। উপজেলায় প্রায় ৩২টি ইটভাটা রয়েছে বলে জানা গেছে। ভাটা মালিকেরা জানান, গত মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় এবং বর্তমানে কয়লার মুল্য প্রতি টন দিগুন বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ২০ কোটি টাকা ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে শুরু করেছেন ইটভাটার শিল্প এই কারখানা। উপজেলার ২নং বিনোদনগর ইউনিয়নের পাঠানগঞ্জ বাজার সংলগ্ন জিগজাগ ভাটা মালিক জানান, এ প্রতিষ্টান করতে গিয়ে অনেকে মুল ক্যাশ হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেছে। এদিকে এসএমএম ভাটা মালিক মো. নুর আলম জাানান, গত মৌসুমে ইটভাটা পরিচালনা করতে গিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এ পেশায় টিকে থাকায় দায় হয়ে পড়েছে। ইটভাটা মালিকেরা জানান, গত বছরের প্রায় এ উপজেলায় ২০ কোটি টাকার ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে আবারো শুরু হয়েছে ইটভাটা এ শিল্প।