দাকোপে ‘প্রকল্পের কাজের খোঁজ নেওয়ায়’ সংবাদকর্মীকে পিটিয়েছে ঠিকাদার

0
298

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনাটাইমস :
খুলনার চালনা পৌরসভায় অভ্যন্তরীণ নিষ্কাশনব্যবস্থার উন্নয়নে ড্রেন নির্মাণ কাজের খোঁজখবর নেওয়ায় রতন মণ্ডল নামের এক স্থানীয় সংবাদকর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় রোববার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রতন মণ্ডল বাদী হয়ে দাকোপ থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। এজাহারে প্রকল্পের ঠিকাদার ও দাকোপ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিএম রেজাকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়। অন্য অভিযুক্তরা হলেন, পানখালী ইউনিয়নের হোগলাবুনিয়া গ্রামের মাহাদুন্নবী মিল্টন, মুছা গাজী, রোকন গাজী, সেলিম গাজী।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চালনা পৌরসভার গোড়কাটি এলাকায় (৯ নম্বর ওয়ার্ড) অভ্যন্তরীণ নিষ্কাশনব্যবস্থার জন্য ড্রেন নির্মাণের কাজ দেন পৌর কর্তৃপক্ষ। ওই নির্মাণ কাজ পায় ঠিকাদার জিএম রেজা। গত শনিবার রতন মণ্ডল সহকর্মীদের নিয়ে ওই এলাকায় তার নিজের বাড়িতে যাওয়ার পথে সঙ্গীয় সহকর্মীরা কাজের খোঁজখবর নেয়। তখনি বেলা একটার দিকে ঠিকাদার রেজা কাজের পাশে ছুটে এসে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় দুই পক্ষ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে
এরপর ঘটনার দিন রাত নয়টার দিকে চালনা বাসস্ট্যাণ্ডে রতনকে একা পেয়ে রেজা তার অনুসারীদের নিয়ে হামলা চালায়। এতে রতন গুরুতর আহত হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে রতনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয় কয়েকজন লোক জানায়, ড্রেন নির্মাণ কাজে ঠিকাদার রেজা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে চলছে। ঠিকাদার আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ভয় পান।

এ ব্যাপারের ঠিকাদার জিএম রেজার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

ঘটনাটি দুঃখজনক আখ্যায়িত করে দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল হোসেন খুলনা টাইমসকে বলেন, খুবই নেক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। জানতে চাওয়া হয় দু‘পক্ষই দলীয় হওয়ায় কি ধরণের ব্যবস্থা নিবেন? তিনি বলেন, দলের অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেখ সেকেন্দার আলীর কাছে রোববার রাত ১০টার দিকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি খুলনা টাইমসকে বলেন, এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

 

খু টাইমস / এআর