ম্যানগ্রোভ নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনা সহ উন্নয়নে অবদান রাখা ব্যক্তিদের নামের ফলক স্থাপনের দাবি ১ম উদ্যোক্তার

0
329

আব্দুর রব লিটু, দেবহাটা: ভারত-বাংলা সীমান্ত বর্তী ইছামতি নদীর তীরে গড়ে ওঠা রুপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রটি এখন সুন্দর বনের ছায়া বন। তাই এটি মিনি সুন্দরবন নামেও পরিচিত। এটি রুপ নিতে চলেছে সম্পূর্ন আধুনিক পর্যটন কেন্দ্রে। কোন উৎসব ছাড়াই বর্ষা বাদল উপেক্ষা করেও দর্শনার্থীরা এখানেই ভীড় জমায় প্রতিনিয়িত। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে তড়িত গতিতে। এই ম্যনগ্রোভ বনটির প্রথম উদ্যোক্তা সাবেক সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সরেজমিনে স্পটটির বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। এসময় তিনি বনটির উন্নয়ন কাজে ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনতে এবং শুরু থেকে অবদান রাখা ব্যক্তিদের নামের ফলক স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। বনটি রক্ষণাবেক্ষণ কাজে দায়িত্বরতদের কাছ থেকে বর্তমানে ম্যানগ্রোভ বনটির বিভিন্ন উন্নয়ন বিষয়ে অবহিত হন। সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে তিনি বিভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ২০১১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার কয়েক মাসপর তখনকার উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. সম গোলাম মোস্তফা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কালাচাঁদ সিংহ ও পরবর্তী নির্বাহী অফিসার বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের উপ-সচিব আ.ন.ম তরিকুল ইসলামের যৌর্থ প্রচেষ্টায় সদরের শীবনগর এলাকায় বেদখলি সরকারী জমি উদ্ধার করি। এরপর নদী ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প দিয়ে একটি বাগান সৃষ্টি করা হয়, যেটি এখন ম্যানগোভ বন নামে পরিচিত। উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউএনও খুব আন্তরিক থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে বনের পরিধি ও উন্নয়ন কাজ এগিয়ে যায়। শুরু হয় একটি লেক তৈরীর কাজ। ঐ প্রকল্পের ট্যাগ অফিসার সাবেক যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সঞ্জিত কুমারের সহযোগীতায় সুন্দরবন থেকে চারা এনে খাঁচা পদ্ধতিতে সারি সারি গাছ রোপন করা হয়। লেক থেকে মাটি তুলে গড়ে তোলা হয় ভেড়িবাধ ও আগত দর্শাণার্থীদের জন্য ২ কক্ষ বিশিষ্ট বিশ্রামগার। সময় গড়ানোর সাথে সাথে গাছ গুলো বাড়তে শুরু করে। আস্তে আস্তে বনের পরিধি ও পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে। এটি পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ নিয়ে নেওয়ার পর আরো উন্নয়ন হয়। এরপর সরকারি নিয়ম অনুসারে জেলা পরিষদের হাতে চলে যায় বনটি। জেলা প্রশাসকদের পাশাপাশি বিশেষ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম তরিকুল ইসলাম, তহমিনা খাতুন, হাফিজ আল আসাদ, ইকবাল হোসেন এবং বর্তমান সাজিয়া আফরিন বেশ আন্তরিক হওয়ায় ম্যানগ্রোভ বনের উন্নয়ন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছে রূপসী ম্যানগ্রোভ বনটি। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি মহল বনটি নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। সে সময় যারা অবদান রেখেছিল তাদের সবার নামের ফলক স্থাপন করা সহ স্পটটি নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনতে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।