দক্ষিণের পাঁচ হাজার দূর্গা পূজা মন্ডপ পাহারায় গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক

0
991

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। কারিগররা দিন রাত ব্যস্ত। আগামী মাসের প্রথম দিকে প্রতিমার গায়ে রঙের তুলি বসবে। সেই সাথে শাড়ি কাপড় ও গহনা। দক্ষিনের ১০ জেলায় ৪ হাজার ৮শ’ ৯৩ টি পুজা মন্ডপ পাহারা দিচ্ছে গ্রাম পুলিশ ও পূজা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা। পুলিশ ও আনসার আশঙ্খা করছে দুর্বৃত্তরা মন্ডপে আঘাত করতে পারে। ৪ অক্টোবর থেকে হিন্দু ধর্মবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হচ্ছে।
আনসার ও পুলিশের সূত্র জানায়, এবারে সবচেয়ে বেশি প্রতিমা তৈরি হয়েছে খুলনা জেলায়। এখানে প্রতিমার সংখ্যা ৯৪৫ টি। কেএমপির এলাকায় ১২৮টি প্রতিমা তৈরি হয়েছে। ২০১৮ সালে ১২০টি মন্ডপে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়। এবারে মেহেরপুরে ৪৪টি, চুয়াডাঙ্গায় ১১৭টি, কুষ্টিয়ায় ২৪৯ টি, ঝিনাইদহে ৪৫২টি, মাগুরায় ৬৬১টি, নড়াইলে ৫৪৪টি, যশোরে ৬৬৭ টি, সাতক্ষীরায় ৫৮১টি এবং বাগেরহাটে ১৩০টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরি শেষ পর্যায়ে। গত বছর দক্ষিণাঞ্চলে ৪ হাজার ৭৮৪টি মন্ডপে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, খুলনা নগরীর প্রধান প্রধান মন্ডপে সিসি ক্যামেরা এবং হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কমিটির উদ্যোগে অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র ব্যবহারের কথাও বলা হয়েছে। মন্ডপ এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সাদা পোষাকে গোয়েন্দা পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানায়, সনাতনধর্মী এবং শ্রীকৃষ্ণের অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দের জের হিসেবে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে।
আনসার ও ভিডিপি খুলনা সার্কেলের এ্যাডজুটেন্ট মোঃ মিরাজুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, অধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপগুলোতে ৬ জন, গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ মন্ডপগুলোতে ৪ জন আনসার দায়িত্ব পালন করবে। এরমধ্যে মহিলা আনসারও থাকবে। ৪ অক্টোবর সকাল থেকে ৮ অক্টোবর বিজয়দশমী পর্যন্ত আনসাররা দায়িত্ব পালন করবে।
খুলনার ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, মন্ডপগুলোর নিরাপত্তায় গ্রাম পুলিশ ও আনসাররা এখন থেকেই দায়িত্ব পালন করছে। গ্রাম পুলিশ ও দফাদাররা মন্ডপগুলোতে সার্বক্ষনিক নজরদারি করছে। গত বছর ৩১টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এবারে ৩২টি মন্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। পুলিশ মন্ডপগুলো মনিটরিং করছে। পূজা উদযাপন কমিটির কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে সুষ্ঠুভাবে দূর্গোৎসব সম্পন্নের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, খুলনা সিটি কর্পোরেশন মহানগরী এলাকার পূজামন্ডপগুলোতে আর্থিক অনুদান দেবে। জেলা ত্রান ও পূনর্বাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্ডপে অনুদান হিসেবে চাল দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।