তালায় বয়স্ক ভাতার সুপারিশ করায় ইউপি সদস্য কর্তৃক আইনজীবি লাঞ্ছিত

0
351

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরা তালায় জনৈকা সন্তান বিতাড়িত বিধবাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে টাকা-আইডি কার্ড জমা নিয়েও কার্ড না দেওয়ার প্রতিবাদ করায় সংশ্লিষ্ট ইউ পি’র ওয়ার্ড সদস্য শেখ রেজাউল ইসলাম একই এলাকার রাজীব রায় চৌধুরী নামের আইনজীবীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে মাগুরাস্থ ঐ আইজীবীর নিজ বাড়িতে।
সূত্র জানায়,ননী বালা বিশ্বাস নামের ঐ মহিলাকে মানবিক কারণে দীর্ঘ দিন যাবৎ সংশ্লিষ্ট এ্যাড: রাজীব রায় তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন।
অভিযোগে জানাগেছে যে,তালা উপজেলার মাগুরা গ্রামের মৃত তারাপদ বিশ্বাসের স্ত্রী ননী বালা রাণীকে তার স্বামীর মৃত্যুর পর একমাত্র সন্তান তার ভরনপোষণ দেবেনা বলে প্রায় ৩ বছর পূর্বে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর বয়স্কা বিধবা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ভিক্ষা বৃত্তি করে জীবিকানির্বাহ করছিলেন। বিষয়টি একই এলাকার মৃত সুভাষ রায় চৌধুরীর ছেলে এ্যাড: রাজীব রায় চৌধুরীর দৃষ্টিগোচর হলে ননীবালাকে মাতৃ শ্রদ্ধায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। সেই থেকে তিনি ঐ বাড়িতেই রয়েছেন। সম্প্রতি পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে রাজীব স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ রেজাউলকে উক্ত বিধবার জন্য একটি বয়স্ক ভাতা কার্ডের অনুরোধ করেন। প্রথমত রেজাউল তাকে কার্ড করে দেয়ার প্রতিশ্রæতিতে দেড় শ’ টাকা,আইডি কার্ডের কপি,ছবিসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস নিলেও এক অজ্ঞাতকারণে কার্ডটি স্থগিত হয়ে যায়। ঘটনার দিন গত শুক্রবার ইউপি সদস্য ঐ আইনজীবির বাড়িতে গেলে বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য শেখ রেজাউল এ্যাড: রাজীবকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এসময় রাজীবের স্ত্রী এর প্রতিবাদ করলে রেজাউল তাকেও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে রেজাউল ঐবাড়ি থেকে চলে যান। ঘটনাটি এলাকায় প্রচার হলে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য শেখ রেজাউলের প্রতিক্রিয়া জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইলে বারংবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মাগুরা ইউপি চেয়ারম্যান গনেশ দেবনাথের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। সেটা তাদের ভূল বোঝাবুঝির বহিঃপ্রকাশ। আর ননীবালার বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির বিষয়টি তার অগোচরে মিস ইউজ হয়েছে। অবশ্যই আগামী কোটায় তার কার্ডের বিষয়টি তিনি দেখবেন।
সর্বশেষ এলাকাবাসী বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ননী বালা বিশ্বাসের বয়স্ক ভাতার কার্ড প্রদান ও রেজাউলের শাস্তি কামনা করে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।