এস রফিক, ডুমুরিয়া:
ডুমুরিয়ায় ছেলেদের নামে জমি লিখে দিয়ে পথে বসেছে জুলমত শেখ (৮০)ু নামের এক বৃদ্ধ।বয়সের ভারে ও অসুস্থতায় সীমাহীন দূর্ভোগে পড়েছেন তিনি। উপায়ন্ত না পেয়ে ৪ ছেলেকে বিবাদী করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।অভিযোগ ও বৃদ্ধের করুন ইতিহাস শুনে তার ভরন পোষন নিশ্চিত ও চিকিৎসার ভার নিজেই গ্রহন করলেন ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়,উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের মলমলিয়া এলাকার জুলমত শেখ তার চার পুত্র,দুই কন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে বেশ সুখ্ইে ছিলেন।কিন্তু ৮/১০ বছর হল তার ২য় ছেলে নওশের আলীর প্রলোভনে পড়ে ভিটেবাড়ী সহ ১ একর ২০ শতক জমি তিনি নওশেরের দু‘ছেলেকে লিখে দেন।বিষয়টি জানাজানি হলে অন্য ছেলে-মেয়েরা বাবা ও স্বার্থপর নওশের আলীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে জমি উদ্ধার করতে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করে।একপর্যায়ে চাপের মুখে নওশের নিজে ৫০ শতাংশ জমি রেখে বাকি ৭০ শতাংশ জমি অন্য ভাইদের নামে লিখে দেন।সেই থেকে পিতার উপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় সকলে।এরপর থেকে বৃদ্ধ জুলমত শেখের জীবনে নেমে আসে সীমাহীন দূর্ভোগ।গ্রাম থেকে শাক-পাতা তুলে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা অর্জন করতে থাকেন তিনি।কিন্তু অসুস্থতা আর বয়সের ভারে সেটিও এখন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে কথা হয় ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের সাথে তিনি জানান,মঙ্গলবার সকালে জুলমত শেখ নামের এক বৃদ্ধ একখানি অভিযোগ হাতে নিয়ে কাঁপতে কাঁপতে তার কাছে আসে এবং কাঁদতে কাঁদতে তুলে ধরেন জীবনের করুন কাহিনী। তখন তার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। দ্রুত চিকিৎসার জন্য তাকে ডাক্তার দেখিয়ে এক মাসের ওষুধ কিনে দেয়া হয়।এরপর তার ছেলে ইসমাইল, নওশের,সিরাজ ও মুরাদ শেখকে থানায় ডেকে কারন জানতে চাওয়া হয়। তারা কোন সদুত্তর দিতে না পেরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং প্রতিমাসে পিতার ভোরন পোষন বাবদ ৭ হাজার টাকা দিবে মর্মে রাজি হন তারা এবং চিকিৎসা ভার ওসি নিজেই গ্রহন করেন। অবশেষে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে বৃদ্ধ পিতার হাত ধরে বাড়ি ফিরে যান তারা।