স্টাফ রিপোটার: কালিগঞ্জ উপজেলার খোকনের অত্যাচারে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা হয়রানি মুলক মামলায় জড়ানোর অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। জানায়ায়, কালিগঞ্জ উপজেলার সদরের পাশ^বর্তী বাজার গ্রাম রহিম পুরের মৃত শেখ সগির উদ্দীনের পুত্র রবিউল ইসলাম খোকন কয়েক বছর আগে থেকে কখনও গাড়ির হেলপার, কখনও ভ্যান চালক আবার কখনও এলাকার বাহিরে যেয়ে রিকসা চালিয়ে দিন যাপন করত। বছর খানেক আগে সে শুরু করে থানায় যাতায়াত। এর পর নিজে একটি মোটর সাইকেল কিনে ভাড়ার নামে বহন করা শুরু করে থানার স্টাফদের। এ থেকে সে উপজলার বিভিন্ন এলাকায় থানার লোক হিসাবে পরিচিত পায়। শুরু করে থানার দালালি কারবার। বিভিন্ন মানুষকে দিয়ে মিথ্যা হয়রানি মুলক মামলায় জড়িয়ে দেয় অসহায় মানুষদেরকে। থানায় কেউ কোন জিডি বা অভিযোগ করতে আসলে খোকন তাদের কাজ থেকে পুলিশকে দেওয়ার নাম করে হাতিয়ে নেয় টাকা। এমনকি থানায় আসামী ধরা পড়লে সুযোগ বুঝে আসামীদের আতœীয়-স্বজনদের কাছে ছেড়ে দেওয়ার নাম করে চায় টাকা এমন অভিযোগ নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক উপজেলার কিছু সাধারণ মানুষের। আবার অনেকের প্রশ্ন খোকন কেন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত থানা বা থানা পুলিশের সাথে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করে। এঅভিযোগের বিষয় সম্পূর্ন অস্বিকার করে রবিউল ইসলাম খোকন বলেন, আমি থানার কোন স্টাফ না, আমি থানার স্টাফদেরকে মোটর সাইকেলে বহন করি। বাহিরের কোন যাত্রী বহন করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি থানার স্টাফ ছাড়া কাউকে বহন করেন না বলে জানান।
তাই পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের কাছে রবিউল ইসলাম খোকনের বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে এলাকার অনেক সাধারণ মানুষ।
এবিষয়ে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত পূর্বক অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
