ডুমুরিয়ায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে সন্দেশ

0
181

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডুমুরিয়া উপজেলার ১৮ মাইল বাজারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে সন্দেশ। কতৃপক্ষের নজরকে ফাঁকি দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সন্দেশ তৈরি করে পাঠাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। সরেজমিনে গেলে দেখাযায়, উপজেলার ১৮ মাইল বাজারের বেতাগ্রাম হাইস্কুল রোডে দুইটি সন্দেশ তৈরির কারখানা রয়েছে। দাদা ভাই ফ্যাক্টরি সুইটস সাপ্লাইয়ারস ও অমিত ঘোষ ফ্যাট ছানা ও সন্দেশ কারখানা। কারখানা দুটিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ছানা সহ সন্দেশ। যেখানে দাড়িয়ে কারখানার শ্রমিক সন্দেশ তৈরি করছে ঠিক তার পাশে রয়েছে শৌচাগার ও হাড়ি পাতিল পরিষ্কার করার জায়গা। অন্যদিকে ঐসব তৈরিকৃত সন্দেশে এসে বসছে মাছি সহ জীবানুবাহী পোকা। যদিও নিয়ম রয়েছে পাঁচকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো। কারখানা দুটির কর্মরত লোকদের অর্ধেকের বেশি লোকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো নেই। তাছাড়া পাঁচকদের এ্যাপ্রোন পরিধান সহ হাতে কভার ও পায়ে গামবুট থাকার নিয়ম রয়েছে। কারখানা দুটিতে কাজ করা অবস্থায় কোন শ্রমিকের কোন ধরনের কোন কিছু ব্যাবহারের দৃশ্য চোখে পড়েনি। এমনকি কারখানা দুটির একটিতে সরকারী অনুমোদন (লাইসেন্স) দেখাতে পারলেও অমিত ঘোষ ফ্যাট সানা ও সন্দেশ কারখানার লাইসেন্স দেখাতে পারেনি। কারখানা দুটিতে প্রতিদিন মোট দুধ আমদানি হয় ২ হাজার ২শ’ কেজি। ক্রীম ওঠানো হয় ১১৮ কেজি,ও সন্দেশ তৈরি হয় প্রায় ১৫ মন। এই সকল অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরিকৃত সন্দেশ ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করছে কারখানার মালিকেরা। এই সমস্ত মালিকদের ভাষ্যমতে কোন প্রকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট দিয়ে দেন স্যানিটারী কর্মকর্তা। স্বাস্থের সনদের জন্য বছরে দুইবার করে ২ হাজার টাকা দিতে হয়। এমনকি স্যানিটারী কর্মকর্তা বলেছেন সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ লাগবে না তাই তারা অনেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাগজ বানাননি বলেও জানান। সনদে স্বাক্ষরকারী জেলা স্যানেটারী কর্মকর্তা মোঃ মুজিবর রহমান অস্বীকার করে বলেন খাবার তৈরির কাজে যারাই নিয়োজিত থাকে তাদের প্রত্যেকেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ লাগবে। এ বিষয় নিয়ে কথা বললে সিভিল সার্জন (খুলনা) ডা.নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন বিষয়টি এখন জানলাম তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।