চট্টগ্রাম-চুয়াডাঙ্গায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২

0
299

খুলনাটাইমস: চট্টগ্রাম ও চুয়াডাঙ্গায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন নিহত হয়েছেন। বাহিনীগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন ডাকাত ও একজন মাদক ব্যবসায়ী। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাত ও গতকাল শুক্রবার সকালে এসব ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
চট্টগ্রাম: র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ১০ মামলার আসামি সন্দেহভাজন এক জলদস্যু নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব চাম্বলে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে র‌্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসানের ভাষ্য। নিহত মো. ইরানের (৩৫) বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০টি মামলা থাকার তথ্য দিয়েছে র‌্যাব। মেজর মেহেদী বলেন, পূর্ব চাম্বলে ‘একদল জলদস্যুর’ অবস্থান করার খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি টহল দল সেখানে অভিযানে যায়। সে সময় রাস্তার পাশ থেকে র‌্যাবের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। কিছু সময় গোলাগুলি চলার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় জানিয়ে মেজর মেহেদী বলেন, স্থানীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ওই ব্যক্তির নাম মো. ইরান, সে ডাকাত দল জাকির বাহিনীর সদস্য। গোলাগুলির পর সেখানে তল্লাশি চালিয়ে একটি পিস্তলসহ বিভিন্ন ধরনের ১৩টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২৬ রাউন্ড গুলি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। ওই দস্যুদলের নেতা জাকিরকে ধরতে কিছুদিন আগে ড্রোন ব্যবহার করে পাহাড়ী এলাকায় তল্লাশি চালায় র‌্যাব। পরে সেখানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জাকির নিহত হওয়ার কথা জানানো হয় র‌্যাবের পক্ষ থেকে।
চুয়াডাঙ্গা: দামুড়হুদায় ‘দুই দল মাদক চোরাকারবারির’ সঙ্গে ‘ত্রিমুখী বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে পুলিশ। তবে নিহত রোকনুজ্জামান রোকনের স্বজনরা বলছেন, আগের দিন ‘কিছু লোক’ তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। ৩৫ বছর বয়সী রোকন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুরের আবু বক্কর সিদ্দিকীর ছেলে। গত বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে ওই গ্রামের একটি বাঁশবাগানে কথিত সেই বন্দুকযুদ্ধে রোকন নিহত হন বলে দামুড়হুদা থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাসের ভাষ্য। তিনি বলছেন, পুলিশের উপর হামলা, মাদক চোরাচালান, ডাকাতি, অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে রোকনের বিরুদ্ধে। ঘটনার বিবরণে ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘মাদক ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে’ উপজেলার জয়রামপুর কাঁঠালতলা এলাকার একটি বাঁশবাগানে ‘দুই দল চোরাকারবারির’ মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়েছে বলে রাতে খবর পায় পুলিশ। ওই খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টহল দল সেখানে গেলে মাদক ব্যবসায়ীদের দুই পক্ষই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। পুলিশও তখন পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রায় আধা ঘণ্টা ত্রিমুখী বন্দুকযুদ্ধ চলে। পরে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে রোকরুজ্জামানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। গুলিবিদ্ধ রোকনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি এলজি, দুটি কার্তুজ, একবস্তা ফেনসিডিল ও দুটি রাম দা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে নিহত রোকনের চাচাতো ভাই আবদুল মতিন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, তার ভাইকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কিছু লোক দর্শনা থেকে তুলে নিয়ে যায়। তারা তাদের পরিচয় দেয়নি। আমরা পরে দামুড়হুদা থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে রোকনকে পাইনি। মতিনের এই অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে দামুড়হুদা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর কবির বলেন, তুলে নেওয়ার এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি, ওই অভিযোগ সঠিক না।