পাইকগাছা প্রতিনিধি:
পাইকগাছায় চৌকিদার নিয়োগে গড়ইখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দেড় লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে বহু লোকের সামনে উত্তম সরকার নামে এক প্রার্থী সরাসরি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট চেয়ারম্যানের নামে এই অভিযোগ করলে উপস্থিত সকলে হতবাক হয়ে পড়ে। এ সময় চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস ঘটনাটি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে অসত্য বলে জানান। এ সময় লস্কর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান তুহিন, সাংবাদিকরা সহ বিভিন্ন অফিসের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। উত্তম সরকার গড়ইখালীর দক্ষিন আমিরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও অবসর প্রাপ্ত চৌকিদার কিনারাম সরদারের ছেলে। সে জানান, গড়ইখালী ইউনিয়নে ৭ ওয়ার্ডে বাবার চৌকিদারি চাকুরী শেষে অবসরে যান। এ পদটি শুন্য হলে পরবর্তীতে চৌকিদার নিযোগের জন্য আমার পরিবার চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করলে দেড় লাখ টাকার চুক্তি হয়। চেয়ারম্যানের কথা মত গত ২০/০৮/২০১৬ তারিখে বিকেলে শান্তা বাজারস্থ তার কার্যালয়ে ইউপি মেম্বর দুর্গাদাশ ও অনিমেশ মন্ডলের উপস্থিতে আমি চেয়ারম্যানের কাছে দেড় লক্ষ টাকা তুলে দেই। ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি দিলে আমি আবেদন করি এব্ ংনোটিশ পেয়ে ২৮/০১/২০১৭ তারিখে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করি। অনিবার্য কারনে এই পরীক্ষা স্থগিত হয়। এ সময়কালে আমি অস্থায়ীভাবে চোকিদারী কাজ করে আসছি। সর্বশেষ গত ২২ ডিসেম্বর আবারো বিজ্ঞপ্তি দিলে আমি দরখাস্ত করলে চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করে। কিন্তু ২৩ জানুয়ারী নিয়োগ পরীক্ষায় আমি নিয়োগ কার্ড পায়নি। জানতে পেরেছি বয়স ৩০বছর উর্ত্তীর্ন হওয়ায় কর্তৃপক্ষ কার্ড দেননি। তাই টাকা আদায় ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থার জন্য উত্তম উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে অনুরোধ করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,বি,এম খালিদ হোসেন ঘুষের টাকা লেন-দেন দুটোই অপরাধ মন্তব্য করে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানানোর কথা বলেন। সর্বশেষ জানা গেছে টাকার একটি অংশ ফেরৎ দিয়ে চেয়ারম্যান পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছেন।