ডুমুরিয়ায় পলাতক রাজাকারের আত্মপ্রকাশ : গ্রেফতারের দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে ভাই হারা এক পরিবার

0
182

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি:
ডুমুরিয়ায় ১৯৭১ সালে রাজাকারের হাতে নিহত ভাই হত্যার বিচার ও গ্রেফতারের দাবিতে আদালতে মামলা ও প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, ডিজেএফআই, মহা-পুলিশপরিদর্শক সহ বিভিন্ন দপ্তরে দ্বারস্থ হয়েছেন ছাহেব আলী শেখ নামের ভাই হারা এক পরিবার। দীর্ঘ ৪বছর পলাতক থাকা হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ একাধিক অপকর্মের মুল হোতা আতিয়ার রহমান ওরফে যন্ত্র আতি সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে নিজ এলাকায়। আশু তাকে গ্রেফতার, ভাই হত্যার বিচার, সম্পত্তি হস্তান্তর ও পেনশন বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। উপজেলার সদর ইউনিয়নে খলশি গ্রামস্থ মৃত হাতেম আলী শেখের ছেলে মোঃ ছাহেব আলী শেখের দায়েরকৃত মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ‘৭১ সালে যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আল-বদর বাহিনীর হাতে দেশে হত্যা, গুম, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ সহ নানা নারকীয় ঘটনা ঘটে। অনুরুপ ভাবে ডুমুরিয়ার রাজাকার, আলবদর বাহিনীও চুকনগর গণহত্যা সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, গুম, অগ্নি সংযোগ সহ নারকীয় ঘটনা ঘটায়। এর মধ্যে একজন রাজাকার ও প্রমোশন প্রাপ্ত আলবদর কমান্ডার আতিয়ার রহমান ওরফে যন্ত্র আতি বলে দাবি করেন তিনি। ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারী খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত “খ” অঞ্চলে দায়েরকৃত সিআর-১২/১৭ নং মামলার বিবরন ও বিভিন্ন দপ্তরে দায়েরকৃত অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার আলবদর কমান্ডার নামে খ্যাত শেখ আতিয়ার রহমান ওরফে যন্ত্র আতির নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে ৮ ডিসেম্বর সকাল ৭টার দিকে বিচারপ্রার্থী ছাহেব আলীর আপন বড় ভাই সামাদ শেখকে খুলনার লঞ্চঘাট এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে আটক করে যন্ত্র আতি ও তার অনুসারীরা। এরপর থুকড়া বাজারের নিকটে ¯øুইচ গেটের উপর দাঁড় করে নির্মম ভাবে গুলি করে হত্যা করা হয় সামাদ শেখকে। এছাড়া আরও অনেক হত্যা, গুম, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ৪মার্চ বিভিন্ন দপ্তরে দায়েরকৃত অভিযোগে বলা হয়েছে বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি দায়েরের পর থেকে প্রায় ৪বছর গা ঢাকা দিয়ে পলাতক জীবন শুরু করে যন্ত্র আতি। সম্প্রতি বীরদর্পে নিজ এলাকায় আত্ম প্রকাশ করে ঘোরাফেরা করছেন তিনি। শুধু তাই নয় যথারীতি ভাবে নিজ সস্পত্তি হস্তান্তর ও পেনশনের টাকা উত্তোলন করে আসছেন। আর মোটা অংকের টাকার বিনিমিয় এ কাজে সহায়তা করে আসছেন উপজেলার এক মুক্তিযোদ্ধা। গভীর বন্ধুত্ব স্থাপন হয়েছে ওই মুক্তিযোদ্ধা ও ঘাতক রাজাকারের মধ্যে। এক জন রাজাকারের এ ধৃষ্টতা দেখে সমালোচনা, কৌতুহল ও নানা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসি। আশু তাকে গ্রেফতার, ভাই হত্যার বিচার, সম্পত্তি হস্থান্তর ও পেনশন বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগি পরিবারটি।