খুলনা-১ আসনে সাবেক সাংসদ ননীগোপাল আ’লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন

0
1396

নিজস্ব প্রতিবেদক,খুলনাটাইমস :

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার (৯ নভেম্বর) দলটির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ের পাশের নতুন ভবনে আটটি বুথ থেকে আট বিভাগের প্রার্থীরা ফরম সংগ্রহ করছেন।

 

খুলনা-১ আসনের (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) সাবেক সাংসদ ননীগোপাল মণ্ডলের পক্ষে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন উপজেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা এ্যাড. জিএম কামরুজ্জামান। এ সময় তার সাথে স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে তিনি দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এবার মনোনয়ন ফরমের মূল্য ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে বলে জানা গেছে।

 

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনটিতে সংসদ সদস্য হিসেবে পঞ্চানন বিশ্বাস জয়ী হন। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ১ লাখ ২০ হাজার ৮০১ ভোট পেয়ে সাবেক সাংসদ ননীগোপাল মণ্ডল জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বনদ্বী প্রার্থী ছিলেন বিএনপির আমীর এজাজ খান (৬৮ হাজার ৪০২ ভোট)। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছিলেন ননী গোপাল। ভোট কেটেছিলেন উল্লেখ করার মতো, ৩৪ হাজার ৫২৭টি। দলীয় প্রার্থী পঞ্চানন বিশ্বাস মোট ৬৬ হাজার ৯০৪ ভোট পেয়ে জিতেছিলেন। কিন্তু বিএনপি জোটের কেউ নির্বাচনে না থাকায় রক্ষা পেয়ে যায় আসনটি।

নির্বাচনী ওই এলাকাটি হিন্দু সম্প্রদায়-অধ্যুষিত থাকায় বরাবরই আসনটি আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, খুলনার অপর পাঁচটি আসন সময়ে সময়ে বিভিন্ন হাতে পড়েছে। কিন্তু ১৯৯১ সাল থেকেই খুলনা-১ নিরাপদ আ’লীগের জন্য। গত পাঁচটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর জয় হয়। ফলে দলীয় মনোনয়ন পেতে এবারও কয়েক জন নেতা ফরম সংগ্রহ করেছে।

 

এলাকার সাধারণ মানুষ বলছেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরে ওই নির্বাচনী এলাকাটিতে উন্নয়ন হয়েছে সাবেক সাংসদ ননীগোপাল মণ্ডলের আমলে। এর আগে আর কেউ এতো উন্নয়ন করতে পারেনি। এমন কি বর্তমান সাংসদ আ’লীগ সরকারের সময়ে যে উন্নয়ন হয়েছে তা তিনি এ এলাকায় করতে পারেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।

সাবেক সংসদ সদস্য ননীগোপাল মণ্ডল খুলনাটাইমসকে  বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠক থেকে শুরু করে সভা-সমাবেশ ও আ’লীগ সরকারের উন্নয়ন বার্তা মানুষের কাছে পৌছানোর জন্য সকল কার্যক্রম চালিয়েছি। এছাড়া জনগণের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে সামনের দিকে এগিয়েছি। এখন মনোনয়ন ফরম কিনেছি এবং দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হলে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করবো।