খুলনায় কিশোর গ্যাং বিরোধী অভিযান শুরু মহানগর পুলিশের

0
175

সুমন আশিক:
খুলনায় কিশোর গ্যাং বিরোধী অভিযান শুরু করেছে মহানগর পুলিশ। ছাড় পাবে না মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু, জুয়াড়িরাও। এমনই ঘোষণা দিলেন খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো: মোজাম্মেল হক বিপিএম-বার, পিপিএম-সেবা। শনিবার (১৯ আগস্ট) খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত মৎস সপ্তাহ উদযাপন শেষে সাংবাদিকদের এসব বলেন তিনি।
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, রাস্তার মোড়ে মোড়ে যেসব ছেলেরা অহেতুক আড্ডা দেয়, তাদেরকে ধরা হচ্ছে এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে প্রতিশ্রæতির মুচলেকা নিয়েই ছাড়া হচ্ছে। সাবধাণ করা হচ্ছে, দ্বিতীয় বার পুলিশের হাতে ধরা পড়লে সংশোধানাগারে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
মো: মোজাম্মেল হক জানান, ইতোমধ্যে মাদক এবং অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জোরেশোরে অভিযান চলছে। যার দৃশ্যমান চিত্র সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে আপামর জনতা জানতে পারছে। চলতি মাসেই পৃথক চার অভিযানে ৪টি বিদেশী পিস্তল, বিপুল পরিমাণ গুলি ম্যাগজিনসহ উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য মামলার সাথে যারা জড়িত তাদেরকেও আটক করা হচ্ছে।
কেএমপি কমিশনার বলেন, ভ‚মিদস্যুদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ শুরু করেছে খুলনা মহানগর পুলিশ। এখন থেকে ভ‚মি দখলবাজ, খাল খেকোদের কোনভাবেই ছাড় দেবে না পুলিশ। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চান তিনি। তিনি জানান, সাংবাদিকরা পুলিশকে তথ্য প্রদান করে সহযোগিতা করলে, পুলিশের কাজের গতি আরও বেগবান হবে। সবশেষ পুলিশ কমিশনার জানান, খুলনা মহানগরীর সুনাগরিকদের আছেন, তাদের কাছ থেকে পরামর্শ/তথ্য নিয়ে এই শহরকে সকাল প্রকার সন্ত্রাসমুক্ত, মাদকমুক্ত, অপরাধমুক্ত, ই্ভটিজিংমুক্ত, জুয়ামুক্ত একটি সুন্দর, নিরাপদ ও শান্তির নগরীতে হিসেবে উপহার দিতে চাই।
উল্লেখ্য, কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) মাসিক অপরাধ পর্যালোচনায় সভায় বলেন যে, “খুলনা মহানগরীতে জঙ্গী ও সন্ত্রাস, মাদক, মানব পাচার, চাঁদাবাজি প্রতিহত করতে এবং যানজট মুক্ত নগরী গড়তে আমরা বদ্ধ পরিকর।
হত্যা, ডাকাতি, দস্যুতা, গণধর্ষণ, অপহরণসহ গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর মামলাসমূহের নিবিড়ভাবে তদন্ত করতে সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন। যে কোন ধরণের ফৌজদারি ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেজন্য তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে সংশ্লিষ্ট অফিসারদেরকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন যে, খুলনা এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ শুনতে চাই না এজন্য মাদক ব্যবসায়ীদের ও সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করে মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী, জুয়াড়ি, দেহ ব্যবসায়ী এবং ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে। এছাড়া মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সকল গুরুত্বপূর্ণ মামলার ছায়া তদন্ত করবে। কেএমপি’র আওতাধীন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটলে দ্রæততার সাথে মামলা রুজু করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেতে হবে। চোরের ডাটাবেজ করতে হবে এবং চুরি বন্ধে নাইট গার্ডদের টহল পুলিশ সতর্ক করবে। ডিউটি কালীন সময়ে লাইট ও বাঁশি ব্যবহার করলে সিধেঁল চুরি বন্ধ হয়ে যাবে। অভিযোগগুলো দ্রæততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ প্রদান করেন। খুলনা মহানগরীতে মোটরসাইকেল চোরচক্র গ্রেফতারের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশনা প্রদান করেন।