খুলনার উপকূলীয় এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ শহরে আশ্রয় গ্রহণ করছে : সিটি মেয়র

0
266

নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাজ্য ভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এবং ইউএনডিপি’র লাইভলিহুডস ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পুওর কমিউিনিটস (এলআইইউপিসি) প্রকল্পের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার সকালে নগর ভবনে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক-এর সাথে এক মতিবিনিময় সভায় মিলিত হন। স্থানীয় সরকার বিভাগের মাধ্যমে এবং কেসিসি’র তত্ত্বাবধানে খুলনা মহানগরীতে বাস্তবায়নাধীন ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন’ প্রকল্পের কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিটি মেয়র খুলনা সফরে আসায় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের স্বাগত জানান।
মতবিনিময় সভায় বলা হয়, প্রকল্পের আওতায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আবাসন এলাকায় আর্থ-সামাজিক ও ভৌত-অবাকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম চলছে যা দারিদ্র হ্রাসসহ তাদের নেতৃত্ব বিকাশে ভূমিকা রাখছে। দারিদ্র হ্রাসকরণে প্রকল্পটি কার্যকর প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। প্রকল্পটি সরকারের ভিশন ২০২১ এবং এসডিজি-২০৩০ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। এছাড়া মতবিনিময় সভায় শহরের বর্তমান দারিদ্রের অবস্থা ও দারিদ্র বিমোচনের সম্ভাবনা, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শহরের সমস্যা ও সমাধান, দরিদ্রদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা, চলমান প্রকল্পের সাফল্য এবং চাহিদা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় স্থান পায়।
সভায় সিটি মেয়র বলেন, খুলনা মহানগরী দেশের তৃতীয় বৃহত্তম সমুদ্র উপকূলীয় নগরী। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে মাটির লবনাক্ততা, জলাবদ্ধতা, অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে উপকূলীয় এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ এ শহরে আশ্রয় গ্রহণ করছে। কেসিসি শহরে স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বসবাসরত সকলকে সেবা দিয়ে থাকে উল্লেখ করে সিটি মেয়র এ সকল উদ্বাস্তুদের জন্য জমি অধিগ্রহণপূর্বক বহুতল ভবন নির্মাণ করে বাসস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সরকার ও দাতা সংস্থাসমূহকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। ২০০৮ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত এ প্রকল্পের আওতায় নগরীর বস্তি এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনায় ঋণ প্রদানের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছিল যা দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সিটি মেয়র পূর্বের ধারাবাহিকতায় বর্তমানেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মতবিনিময় সভায় ডিএফআইডি মিশনের ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড এনভায়রমেন্ট এডভাইজার আনা ব্যালান্স, স্টাটিসটিক্স এডভাইজার উই হাং, গভর্ন্যান্স এডভাইজার জোস বার্ড, এসডিএ আনোয়ারুল হক, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফারজানা মুস্তাফা, ইউএনডিপি’র বাংলাদেশস্থ হেড অব পোভার্টি এন্ড আরবানাইজেশন আশেকুর রহমান, এলআইউপিসি-ইউএনডিপি’র ন্যাশনাল প্রোজেক্ট ম্যানেজার ইকরামুল কবির, ইন্টারন্যাশনাল টেকনিক্যাল এডভাইজার যোগেশ ভাগাট প্রাধানাং, কেসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী (দায়িত্বপ্রাপ্ত) লিয়াকত আলী খান ও চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দলটি পরে প্রকল্পের মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের সাথেও মতবিনিময় করেন।