খুবিতে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ

0
157

খবর বিজ্ঞপ্তি:
যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে সকাল ৬-৩০ মিনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মুখে, সকাল ৬-৪০ মিনিটে অদম্য বাংলায় শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, সকাল ১০ টায় ওয়েবিনারে আলোচনা সভা শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে (৪র্থ তলা), বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দিরে প্রার্থনা, এছাড়া আলোকসজ্জা (মেইনগেট থেকে হাদী চত্বরের রাস্তা পর্যন্ত, প্রশাসনিক ভবন ও অদম্য বাংলা)। খুবির সাইটে স্কুলের উদ্যোগে ‘ম্যানেজিং চেঞ্জ এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক লেকচার সিরিজ অনুষ্ঠিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা (সাইটে) স্কুলের উদ্যোগে ‘ম্যানেজিং চেঞ্জ এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এক লেকচার সিরিজ আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত জুম অ্যাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা (সাইটে) স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ লেকচার সিরিজে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ডিজাইন এন্ড এনভায়রনমেন্ট স্কুলের স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জোহান্স উইডোডো। তিনি জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের বিভিন্ন দিক নিয়ে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হেরিটেজে বিনিয়োগ টেকসই উন্নয়নের সহায়ক। এই এসডিজি অর্জনের জন্য সকল শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে গ্রামীণ জনপদের বাসস্থান, নারীদের প্রশিক্ষু এবং দক্ষতা সৃষ্টি করে আয়বৃদ্ধি বিষয়টি সবিশেষ গুরুত্ব রাখে। তিনি এসডিজির শর্ত পূরণে বাংলাদেশ প্রত্যাশানুরূপ অগ্রগতি লাভ করেছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বিভিন্ন তথ্য-চিত্রের মাধ্যমে স্থাপত্যে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ হেরিটেজের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, এই গ্রহের একটি বড় সমস্যা জনসংখ্যা এবং তাদের ভোগের চাহিদা বৃদ্ধি। একই সাথে এই বিশাল মানবগোষ্ঠির অব্যবহৃত বস্তুও বড় সমস্যা, যা পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য হুমকি। এক্ষেত্রে তিনি সিঙ্গাপুরের মতো ইলেক্ট্রনিক যানবাহন ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, সময় ও চাহিদার সাথে যে পরিবর্তন সামনে আসছে তা ব্যবস্থাপনা ও আধুনিক ধারণার সাথে সামঞ্জস্যতা সাধন করে সম্পাদন করতে হবে। করোনা পরিস্থিতি অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ালেও এর মধ্য দিয়েই আমাদের নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জিত হচ্ছে। মানবজাতির টিকে থাকা ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এসব প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই আমাদের সামনে এগোতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি নবীন স্থপতিদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার আহŸান জানান। তিনি তার বক্তৃতার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর স্মৃতি ও কর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। লেকচার সিরিজের শুরুতে স্বাগত বক্তৃতা করেন আয়োজক কমিটির আহŸায়ক ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইসমত কাদির। সঞ্চালনা করেন পদার্থ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ তরিকুল ইসলাম। পরে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. শেখ সেরাজুল হাকিম, সহযোগী অধ্যাপক গৌরি শঙ্কর রায়। লেকচার সিরিজে সমাপনী বক্তৃতা করেন স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. খোঃ মাহফুজ উদ দারাইন। আলোচকরা করোনা মহামারীর পরিস্থিতির মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে লেকচার সিরিজ আয়োজনের জন্য সাইটে স্কুলের ডিনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানের শেষে লেকচার সিরিজে অংশগ্রহণের জন্য ড. জোহান্স উইডোডোকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের পক্ষ থেকে ভার্চ্যুয়াল ‘সার্টিফিকেট অব অ্যাপ্রিসিয়েশন’ প্রদান করা হয়।