খুকৃবির শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি অব্যাহত, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, ডিন অফিসে তালা

0
114

খবর বিজ্ঞপ্তি:
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা সমাধান, ৩৯ শিক্ষকের প্রমোশন নিশ্চিত করা ও তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতের দাবিতে একাডেমিক, ডিন ও বিভাগীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন সকল শিক্ষকরা। একই সঙ্গে কর্মবিরতি পালন করেছেন তারা। সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলাকালে পূর্ব ঘোষিত কর্মসুচি অনুযায়ী কার্যালয়গুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেনবলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আশিকুল আলম।
ড. মো. আশিকুল আলম আরও বলেন, পুনর্মূল্যায়ন কমিটি ৭৩ জন শিক্ষকের সকল ফাইল ও নিয়োগের বৈধতা যাচাই করেছে। দুই মাস ধরে প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। যার ফলে আমরা প্রতিনিয়ত সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন সহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রন্ত হচ্ছি। এ সমস্যার প্রেক্ষিতে দীর্ঘ ১১ মাস স্থগিত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ জন প্রভাষকের পদোন্নয়ন।
গত ০৮ অক্টোবর ২০২৩ থেকে কর্মবিরতিতে আছেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ। গত সোমবার (০৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩জন শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতার দ্্রুত সমাধানের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি করে শিক্ষক সমিতি। অবিলম্বে ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮ জন শিক্ষকের প্রমোশন নিশ্চিত করা ও তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষকবৃন্দরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষনা দেন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত স্থগিত আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা। গত ৩ আগষ্ট ২০২২ ইং তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় যা পরে একটি বিশেষ কমিটির মাধ্যমে পূণর্মূল্যায়ন করা হয়।
খুকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান জানান, কয়েকজন ব্যক্তি এ জটিলতা সৃষ্টির জন্য দায়ী। আমাদের ৩৯ শিক্ষকের পদোন্নয়ন হচ্ছে না এ জটিলতার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের এ সমস্যাটা আমলে নিচ্ছেন না। আমাদেও দাবী অবিলম্বে আদায় না হলে আগামীতে প্রশাসনভবনে তালা ঝুলানোসহ আমরণ অনশন কর্মসুচিতে যাব আমরা।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক একযোগে কর্মবিরতিতে যাওয়ায় স্থবির হয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম। এই পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে সেশনজট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।