খালেদা জিয়ার দুই মামলায় জামিন বিষয়ে আদেশ আজ

0
487

অনলাইন ডেস্কঃ
মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ভুয়া জন্মদিন পালন ও যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মানহানির দুই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আজ আদেশ দেবেন আদালত।

পুরান ঢাকার বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালতে ঢাকার পৃথক দুই মহানগর হাকিমের আদালত এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।

গত ২১ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ভুয়া জন্মদিন পালনের মামলা আর ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের আদালতে যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগের মামলার জামিনের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন শুনানি করেন তার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পৃথক দুই আদালত জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য ৫ জুলাই দিন ধার্য করে দেন। গত ১৪ জুন মামলা দুটিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জামিনের আবেদন করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী ‘স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে আদালতে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন। ওই দিন ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম তেজগাঁও থানার ওসিকে মামলার তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলায় খালেদা জিয়া ও তার প্রয়াত স্বামী জিয়াউর রহমানকে আসামি করা হয়।

এরপর গত বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) এবিএম মশিউর রহমান মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর তা আমলে নিয়ে প্রাক্তন এ প্রধানমন্ত্রীকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন আদালত।

প্রচলিত আইনে মৃত ব্যক্তির বিচারের সুযোগ না থাকায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করা হয়। মামলাটিতে গত বছরের ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রাক্তন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলাটিতে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে ১৯ ও ২২ আগস্ট দুই জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাক্তন এ প্রধানমন্ত্রীর মেট্রিক পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী জন্ম তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সাল। ১৯৯১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯ আগস্ট ১৯৪৫ সাল। তার বিবাহের কাবিননামায় জন্মদিন ৪ আগস্ট ১৯৪৪ সাল। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পার্সপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ৫ আগস্ট ১৯৪৬ সাল।

মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার ৫টি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি ৫টি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকীর জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য তিনি ওইদিন জন্মদিন পালন করেন।