খালিশপুরে ভেজাল মধুর কারখানা চালাতেন মসজিদের মোয়াজ্জেন, ডিবি’র অভিযানে অর্থ ও কারাদন্ড প্রদান

0
106

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নগরীর খালিশপুরে ”খুলনা মধু ঘর” নামক ভেজাল মধু কারখানায় অভিযান চালিয়েছে খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সদস্যরা। তখন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির মালিক, স্থানীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৭)’কে ১০ দিনের কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। ৬শ’ লিটার ভেজাল মধু জব্দ করা হয়।
সূত্র জানায়, খুলনা মহানগর ডিবি পুলিশের একটি টিম খালিশপুর থানাধীন উত্তর কাশিপুর এলাকায় একটি কারখানায় কথিত মধু (ভেজাল মধু) মোড়কজাত ও বাজারজাত করা হচ্ছে মর্মে সংবাদ পায়। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় খালিশপুর থানাধীন উত্তর কাশিপুর কবরখানা রোডস্থ হোল্ডিং নং-০৪/১১, জনৈক খোকা মিয়ার চারতলা বিশিষ্ট বাড়ির নীচতলার গ্যারেজের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে। অভিয়ানে বিপুল পরিমান ভেজাল মধু জব্দ হয়। যার মধ্যে রয়েছে ২২ টি জারিকেনে অনুমান ৫৮২ লিটার কথিত মধু, ১৮ টি প্লাষ্টিকের ১ লিটারের বোতলে রক্ষিত ১৮ লিটার ভেজাল মধু, সর্বমোট ৬০০ লিটার কথিত মধু।
অভিযানকালে জানা যায় ”খুলনা মধু ঘর” নামক উক্ত প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী, খালিশপুর থানাধীন কাশিপুরের বাইতিপাড়ার পোড়াবাড়ি মসজিদ কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা মৃত এনাম হোসেন ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৭) দীর্ঘদিন যাবৎ লাইসেন্স ব্যতীত বিএসটিআই এর মানচিহ্ন ব্যবহার করে কথিত মধু (ভেজাল মধু) মোড়কজাত ও বাজারজাত করে আসছিলেন। আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৭) স্থানীয় জোড়াবাড়ী মসজিদের মোয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং এর পাশাপাশি তিনি ভেজাল মধু মোড়কজাত ও বাজারজাত করে আসছিলেন। সে প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, খুলনা এবং বিএসটিআই, খুলনা এর প্রতিনিধি সমন্বয়ে উক্ত ব্যক্তিকে অননুমোদিত বিএসটিআই মানচিহ্ন ব্যবহারের জন্য বিএসটিআই আইন-২০১৮, ধারা-১৫(১) এর ২৭ মূলে ২৫,০০০ টাকা জরিমানা এবং ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। জব্দকৃত উক্ত মধুর গুনগত মান পরীক্ষার জন্য বিএসটিআই এর ল্যাবরেটরীতে প্রেরণ করা হয়েছে।