খালিশপুরে ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ : ভাঙচুর

0
1364

নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা নগরীর খালিশপুরস্থ ৯নং ওয়ার্ডের বাস্তহারায় এলাকায় নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র (আরবান) এ ভুল চিকিৎসায় শিউলি বেগম (৩৭) নামে এক মহিলা মৃত্যুবরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ক্লিনিকের সামনে এসে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এ সময় নিহতের পরিবারসহ স্থানীয়রা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। মেইন গেটের সামনে একটি সাইন বোর্ডে তারা ভেঙ্গে ফেলে। প্রতিবাদকারীরা ক্লিনিকের ভিতরে ঢুকে মারমুখি আচরন করে। এ সময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত শিউলির স্বামী মুজগুন্নি উত্তরপাড়া জামে মসজিদ এলাকার বাসিন্দা লতিফ পাটোয়ারী জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে দশ বছর মেয়াদী জন্ম নিয়ন্ত্রণ রোধে তার স্ত্রী শিউলি বেগম জরায়ুতে কপাটি স্থাপন করেন। কপাটি লাগানোর পর থেকে শিউলি বেগম প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়তেন। গত বৃহস্পতিবার শিউলি বেগম কপাটি খোলার জন্য ওই ক্লিনিকে যায়। সেখানে ক্লিনিকের সিনিয়ার স্টাফ ইরাবতি (৪৭) ১শ টাকার বিনিময়ে কপাটি খুলে দেন। এ সময় শিউলি বেগম মাথা ঘুরে ক্লিনিকের ভিতরে পড়ে যায়। কিন্তু পরবর্তী কোন নির্দেশনা বা ওষুধ না দিয়ে মহিলাটাকে ছেড়ে দেয়া হয়। বাসায় যেয়ে শিউলি বেগমের পেটে তীব্র ব্যাথা উঠে। তাকে আবারো আরবান ক্লিনিকে নিয়ে আসা হয়। এ সময় তারা রোগীর অবস্থা গুরুত্বর দেখে ফেরৎ পাঠিয়ে দেন। রোগীর লোকজন প্রথমে আদ-দ্বীন হাসপাতালে নিয় যায়। সেখানে ডাক্তাররা তাকে ভর্তি না করে ফেরৎ পাঠান। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিউলি বেগমকে। শুক্রবার শিউলি বেগমের অপারেশন করে ডাক্তাররা পরে তিনি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে।
ভর্তি করার সময় খুমেক হাসপাতালের ডাক্তাররা শিউলি বেগমরে স্বামীকে জানায় রোগীকে একবারে শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। কপারটি লাগানো এবং খোলা সঠিক ভাবে হয়নি বলে শিউলি বেগমের স্বামী জানান। যার কারেন তার স্ত্রীর মৃত হয়েছে। গতকাল নিহত শিউলি বেগমওে স্বামী ও আত্মীয় স্বজনারা স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে ক্লিনিকের সমানে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে খালিশপুর থানার পুলিশ ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমডি মাহফুজুর রহমান লিটন নিহতের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এ বিষয়ে খালিশপুর থানার ওসি সরদার মোশারেফ হোসেন জানান, সংবাদটি শোনার পর পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে নিহত পরিবারের কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি।