কয়রায় ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশ

0
178
???????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????

কয়রা প্রতিনিধি:
“বন্ধ হোক নারী নির্যাতন নিশ্চিত হোক দেশের উন্নয়ন” এই প্রতিপাদ্যে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে শনিবার (১৭ অক্টোবর) কয়রায় বিট পুলিশিং সমাবেশ করেছে কয়রা থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) পুলিশ সদর দফতর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি নির্দেশনা অনুযায়ী কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেনের নেতৃত্বে কয়রায় ৭টি ইউনিয়নে এক যোগে বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিট পুলিশিং সমাবেশে সংশ্লিষ্ট এলাকার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী, ছাত্র-ছাত্রী, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, মসজিদের ইমামসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী পোস্টার, লিফলেট, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে জনসাধারণকে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসেন এবং এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতন করেন। বিট পুলিশিং সমাবেশে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন দেশের সামাজিক শৃঙ্খলা এবং জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানকল্পে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনায় অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ এবং ভবিষ্যতেও করবে। দেশের সেবা ও জনগণের কল্যাণে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে সর্বদা সর্বতোভাবে জনগণের পাশে রয়েছে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তারা আরও বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন মাপকাঠিতে বাংলাদেশ বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে। উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং টেকসই করতে হলে টেকসই সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলার কোনো বিকল্প নেই। আর টেকসই আইন শৃঙ্খলার জন্য জনগণের সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা অত্যাবশ্যক। জনগনের সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততায় পুলিশ কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের অপরাধ চিত্র, অপরাধীদের তথ্য, অগ্রিম গোয়েন্দা তথ্য, নিরাপত্তা ঝুঁকিসহ গণতান্ত্রিক পুলিশিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব তথ্য সরাসরি সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে। এলাকার টাউট, দালাল, প্রতারক, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাস্তানদের দৌরাত্ম্য হ্রাস পাবে। কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম শক্তিশালী হবে। থানায় মোতায়েনকৃত জনবলের সর্বোত্তম ব্যবহার সম্ভব হবে। পুলিশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হবে। এলাকার বিরাজমান দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ নিষ্পত্তির সূচনা ঘটবে।