আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার ২০ নং কুঁন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবগঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা আহ্বান নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় কমিটি ও শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ। সভাকে ঘিরে একটি পক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে স্পর্ষকাতর বিষয় তুলে শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম কে বা সভাপতির ভাইকে জড়িয়ে মুল ঘটনাকে পাশ কাটিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে চলেছেন। স্কুলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি উত্তম কুমার সরকার বলেন- গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরের উপজেলা শিক্ষা কমিটির ১২ নং অধিবেশনে নবগঠিত কমিটি পাশ হয়। এরপর দুই মাস পার হলেও প্রধান শিক্ষক মুর্শিদা খাতুন কয়েকবার সভার তারিখ দিলেও সভা করেননি। তার নিজ মতাদর্শী কিছু লোক নিয়ে তিনি সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার পায়তারা করে যাচ্ছেন। তার লোকজনের আস্ফালনে কমিটির হাইস্কুল শিক্ষক প্রতিনিধি সুস্মিতা রানী পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। আমার ভাতৃবধু কেয়া বসু স্থানীয় মহিলা মেম্বারের নির্বাচনী প্রতিপক্ষ হওয়ায় তিনি শুধুমাত্র আমাদের হেনস্তা করতে আমার ভাই স্বাস্থ্যকর্মী রবীন্দ্র নাথ সরকারকে জড়িয়ে গনমাধ্যমে অহেতুক মিথ্যা বয়ান দিয়েছেন। এদিকে কমিটি গঠন হওয়ার পরপর দুইমাস পার হলেও সভা আহ্বান করেননি। নিয়মানুযায়ী মাস শেষে সভাপতির স্বাক্ষরসহ মাসিক রিটার্ন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও আমার কাছ থেকে কোন স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি। উক্ত প্রধান শিক্ষক বরাবর বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা বিষয়টি নিয়ে গত ১৬ ফেব্রæয়ারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করি। এরপর গত ২০ ফেব্রæয়ারি স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় দেখতে পেলাম শিক্ষা অফিসার কতৃক মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করা হয়েছে মর্মে প্রচার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মুর্শিদা খাতুন বলেন- শিক্ষা কর্মকর্তা মিটিং ডাকার জন্য চিঠি দিলে রবিবার আমি স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি ডেকে মিটিং করেছি। শিক্ষা অফিসার বলেন- প্রধান শিক্ষক মুর্শিদা খাতুনকে দরখাস্তের বিষয় নিয়ে কথা বলে তাকে বিধিমোতাবেক মিটিং আহ্বান করতে বলেছি মাত্র। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তি করার কোন প্রশ্নই আসেনা। তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে গনমাধ্যম কর্মীদের ভুল বুঝিয়েছেন। তার সাথে কথা বলার সময় সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সেলিম, ইদ্রিস আলীসহ আমাদের প্রধান সহকারি সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এব্যাপারে ওই কর্মকর্তা ও প্রধান সহকারির কাছে জানতে চাইলে তারাও প্রধান শিক্ষক বর্ণিত বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেন জানান।