আশাশুনিতে ডিডের জমি জবর দখল, আইন শৃংখলা ভঙ্গের আশঙ্কা!

0
164

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের অন্যের ডিড করা ও পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমি থানার সিদ্ধান্তকে অমান্য করে জবর দখল নিয়ে পানি উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ডিড গ্রহিতারা শান্তি রক্ষায় অপেক্ষা করলেও যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্খা বিরাজ করছেন। শ্রীউলা ইউনিয়নের মাড়িয়ালা মৌজায় মিজানুর রহমান সাগর দীর্ঘ ২০ বছর ৩৫০ বিঘা জমি হারি নিয়ে মৎস্য ঘেরে মৎস্য চাষ করে এসেছেন। ২০২০ সালে তার ডিডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। শেষ সময় তিনি ঘেরের তলা বিক্রয় করেন দেবহাটা উপজেলার জনৈক আলমগীর হোসেনের কাছে। পুইজালা গ্রামের আঃ মালেকের পুত্র রবিউল ইসলাম ঘেরের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ৭৬ জন জমির মালিকের নিকট থেকে জমি ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের জন্য ডিড নিয়ে এবং নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি ১৮৫ বিঘা জমি মাপজোক করে (জমি শুকিয়ে দেওয়ার পর) দখলে যান এবং গত ২০ ফেব্রæয়ারি ঘেরের বাঁধ দিতে যান। এসময় আলমগীর হোসেন, মিজানুর রহমান বাবু লোকজন নিয়ে ঘেরে গিয়ে বাধ বাধার কাজে বাধ সাধেন। ডিড গ্রহিতা শান্তি রক্ষার স্বার্থে নিজেদের মধ্যে বসাবসি করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ঘেরে যাবার লক্ষ্যে কাজ বন্দ রাখেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ দুবৃত্ত/দুর্দান্ত প্রকৃতির লোকজন নিয়ে ঘেরে দখল নিয়ে অবস্থান করে পানি উঠানো শুরু করেন। বিষয়টি ডিড গ্রহিতা থানাকে অবহিত করলে এএসআই মিলন ঘটনাস্থানে পৌছে পানি উঠানো নিষেধ করেন এবং থানায় আসতে বলেন। ২১ ফেব্রæয়ারি সন্ধ্যায় উভয় পক্ষ থানায় উপস্থিত হলে উভয় পক্ষের কথা শুনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ওসি মহোদয় ডিড গ্রহিতাদের জমির মালিকদের থেকে নেওয়া জমি ঘেরের এক পাশ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত দেন। কিন্ত এখনো তারা জমি বের করে দেওয়া কিংবা পানি উঠানো বন্ধ করেনি। ফলে ঘের মালিক ও জমির মালিকরা সঙ্গত কারনে তাদের জমি দখল নিতে গেলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার উদ্ভব হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এব্যাপারে দখলকারীরদের সাথে যোগযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে প্রকৃত ডিড নেওয়া জমি ডিড গ্রহিতাদের অনুকূলে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আইন প্রয়োকারী সংস্থা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। যাতে জবর দখলের চেষ্টার কারণে অপ্রীতিকর ও আইন অমান্যের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর কোন ঘটনার উদ্ভব না হয়।