এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় কঠোরভাবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

0
167

টাইমস ডেস্ক: সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক মাস্ক পরিধান করে পরীক্ষা দিতে হবে। তবে খোলা রাখতে হবে কান। অন্যান্য বছরের মতো এবারও সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ থাকবে। এছাড়া পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত পরিদর্শকেরাও কাছে স্মার্ট মোবাইল ফোন রাখতে পারবেন না। তবে জরুরি প্রয়োজনে তারা এনালগ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে রাজধানীসহ দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এবার রেকর্ডসংখ্যক এক লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন। গত বছর আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৭২ হাজার। ১৯টি কেন্দ্রে ভেন্যুর সংখ্যা ছিল ২৭টি। তবে করোনার কারণে এবার ভেন্যুর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। কারণ পরীক্ষার হলে সামাজিক দূরত্ব মেনে আসনবিন্যাস করা হবে। সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। চলছে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, ভেন্যু নির্ধারণসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম। সামগ্রিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবিব বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে কার্যক্রম দ্রæত এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, এ বছর করোনার সংক্রমণ থাকায় পরীক্ষার হলে মাস্ক পরিধান করেই পরীক্ষা দিতে হবে। কেন্দ্রের প্রবেশপথে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষার হলে কর্তব্যরত পরীক্ষক কোনো পরীক্ষার্থী ভুয়া সন্দেহ হলে মাস্ক খুলে যাচাই করা হবে। তাছাড়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ভেন্যুর সংখ্যাও দ্বিগুণ করা হয়েছে। ডা. এ কে এম আহসান হাবিব বলেন, হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই পরীক্ষার্থীদের বসানো হবে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও ইলেকট্রিনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ থাকবে। পরীক্ষার্থীদেরকে কান খোলা রেখে পরীক্ষা দিতে হবে। কানে যেন গোপন কোনো ডিভাইস লাগিয়ে অসাধুতার আশ্রয় নিতে না পারে সেজন্য কান খোলা থাকতে হবে। বর্তমানে সরকারিভাবে পরিচালিত মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৩৭টি। এগুলোতে মোট আসন সংখ্যা চার হাজার ৩৫০। এ বছর এক লাখ ২২ হাজার ৮৭৪টি আবেদনের হিসাবে আসনপ্রতি লড়বেন ২৮ জন।