বইমেলার স্টল নির্মাণের ব্যস্ততা

0
131

টাইমস ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ব্যতিক্রম পরিস্থিতিতে আগামী ১৮ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশের বইমেলা। ওইদিন বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের বইমেলায় অংশ নিচ্ছে ৫২২টি প্রতিষ্ঠান। এবার ৩১টি প্যাভিলিয়নসহ ছোট-বড় মিলিয়ে স্টলের সংখ্যা ৮০৮টি। এগুলোর মধ্যে ১০৬টি বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং বাকিগুলো স্থাপন করা হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। হাতে সময় আর মাত্র পাঁচদিন। তাই বইমেলার দুই প্রান্তেই একের পর এক বসছে স্টল। এগুলোর নির্মাণকাজে ব্যস্ত সময় পার করছে এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনী সংস্থাগুলোর। গতকাল শনিবার সকালে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মতো করে স্টলের কাজ করে যাচ্ছে অবিরাম। লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়ে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে স্টলগুলোর প্রাথমিক অবকাঠামো তৈরি করে দিচ্ছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে প্রতিটি স্টলের সামনে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের নাম ও স্টল নম্বর সম্বলিত স্টিকার দিয়ে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত জায়গায় প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মতো করে স্টল বানানোর জন্য ইট, বালু, সিমেন্ট, কাঠ, টিন ইত্যাদি বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে আসছে। গোটা মেলা প্রাঙ্গণজুড়ে এখন কেবল করাতের কাটাকুটি আর হাতুড়ির ঠুকঠাক শব্দ। কাঠমিস্ত্রি ও রাজমিস্ত্রিরা ডিজাইন অনুযায়ী স্টলগুলোর আকৃতি দিতে কাজ করছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো স্টলই পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। আগামী ১৬ মার্চের মধ্যে স্টল নির্মাণের কথা থাকলেও কাজের অগ্রগতি দেখে তা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ভাষার মাসের প্রথম দিন থেকেই বাংলা একাডেমি চত্বরে বইমেলা শুরু হয়। রেওয়াজ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী এ বইমেলার উদ্বোধন করে থাকেন। ১৯৮৩ সালে মনজুরে মওলা যখন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন, তখন তিনি বাংলা একাডেমিতে প্রথমবারের মতো অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্যোগ নেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বইমেলা করা সম্ভব হয়নি। ১৯৮৪ সালে সাড়ম্বরে বর্তমানের অমর একুশে গ্রন্থমেলার সূচনা হয়। এর আগে বাঙালির এই প্রাণের উৎসবকে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ নামে নামকরণ করা হলেও এ বছর ‘অমর একুশে বইমেলা’ নাম দেয়া হয়েছে।