এমপি হারুনের জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন খারিজ

0
167

টাইমস ডেস্ক :
শুল্কফাঁকির মামলায় ৫ বছরের দ-প্রাপ্ত বিএনপির সংসদ সদস্য (এমপি) হারুন অর রশীদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গতকাল রোববার বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ খারিজাদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আদেশের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন। ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম শুল্কফাঁকির অভিযোগে দুদকের মামলায় হারুন অর রশীদকে ৫ বছরের দ- দেন। কারাদ-ের পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদ-, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়। এ মামলার পলাতক আসামি চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে দুই বছর সশ্রম কারাদ- ও একলাখ টাকা অর্থদ- অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়।
মামলার অপর পলাতক আসামি ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদ- এবং ৪০ লাখ টাকা অর্থদ- অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় এমপি হারুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন হারুন অর রশীদ। হারুন অর রশীদের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে একই বছরের ২৮ অক্টোবর বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের একক বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। পরে দুদক এ জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে। তখন আপিল বিভাগ নো অর্ডার আদেশ দেন। এরপর হারুন অর রশীদ জামিনে মুক্তি পান। খুরশীদ আলম খান জানান, এরমধ্যে দুদক জামিন আবেদনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে। যেটি গতকাল রোববার খারিজ হয়ে যায়। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, হারুন বিএনপি জোট সরকারের সময় এমপি থাকাকালে ২০০৫ সালে ব্রিটেন থেকে একটি হ্যামার ব্র্যান্ডের গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনেন। গাড়িটি তিনি পরে ইশতিয়াক সাদেকের কাছে ৯৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর সাদেক গাড়িটি চ্যানেল নাইনের এমডি বাপ্পীর কাছে বিক্রি করেন। নিয়ম অনুযায়ী, শুল্কমুক্ত গাড়ি তিন বছরের মধ্যে বিক্রি করলে শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু এমপি হারুন শুল্ক না দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। এই অভিযোগে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ এমপি হারুনসহ তিনজনের নামে এ মামলা দায়ের করেন তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক ইউনুস আলী। মামলায় ২০০৭ সালের ১৮ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। একই বছর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন। হারুন অর রশীদ বিগত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হন।