খুলনা রেলওয়ে থানায় নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত শুরু

0
708

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা রেলওয়ে থানা (জিআরপি)’র ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে রেলওয়ে পুলিশের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার দুপুরে রেলওয়ে পুলিশের কুষ্টিয়া সার্কেলের সিনিয়র এএসপি ফিরোজ আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত শুরু করে।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের ডিআইও-১ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শ ম কামাল হোসেইন ও দর্শনা রেলওয়ে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. বাহারুল ইসলাম।
তদন্ত কমিটির প্রধান এএসপি ফিরোজ আহমেদ জানান, তিনি দুপুর ১টার দিকে জিআরপি থানায় যান। এরপর থানার পুলিশ সদস্যদের ওই ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। তিনি অভিযোগকারীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। তবে এখনো আদালত থেকে কোনো নির্দেশনা কিংবা কাগজপত্র পাননি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ নেই। সাত দিনের মধ্যে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানান।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও এবং ওসিসির সমন্বয়কারী ডাক্তার অঞ্জন কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অভিযোগকারির ডাক্তারি পরীক্ষার পর নমুনা ঢাকায় ডিএনএ ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন আসতে এক মাস সময় লাগতে পারে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২ আগস্ট) ঘটনার রাতে খুলনা রেলওয়ে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ করেছেন এক গৃহবধূ।
ওই নারীর অভিযোগ, শুক্রবার যশোর থেকে ট্রেনে আসার সময় ফুলতলা এলাকায় জিআরপি পুলিশ প্রথমে তাকে মোবাইল চুরির অপরাধে থানায় ধরে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে জিআরপি পুলিশের ওসি ওসমান গণি পাঠান তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর আরও চার পুলিশ সদস্য পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরদিন ৩ আগস্ট (শনিবার) পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করেন। আদালতে বিচারকের সামনে নেওয়ার পর তার বোন জিআরপি থানায় তাকে গণধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন। এরপর আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ দেন।