এবারের বর্ষায় খুলনার উপকূল অঞ্চলে নেই ঘুর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা

0
148

নিজস্ব প্রতিবেদক:
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের আষাঢ় আসল রূপে ফিরেছে। বৈশ্বিক উষ্ণতায় বেশি বৃষ্টিপাত বিপজ্জনক হবে। খুলনার উপকূলবর্তী এলাকায় জুলাই ও আগস্টে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে। তবে আম্পান ও ইয়াসের মত ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অন্যান্য বছর বর্ষা মৌসুমে আষাঢ় মাসে বৃষ্টিপাত কম হলেও এবারে বৃষ্টিপাত বেড়েছে। বৃষ্টির ফলে খুলনা উপকূলের নদ নদীতে নাব্যতা বৃদ্ধি ও সাধু পানি প্রবেশ করেছে। এতে ভুপৃষ্টের লবনাক্ততা কমে যায়। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন বর্ষাকাল বদলে গেছে।

এবারের বৃষ্টি উপকূলের এক-পঞ্চমাংশ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করবে। যুক্তরাষ্টের ব্রাউন ইউনির্ভাসির্টির আর্থ এনভায়রনমেন্টাল এ্যান্ড প্ল্যানেটারী সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক স্টিভেন ক্লিমেন্স এক গবেষণায় বলেছেন গত দশ লাখ বছরের তথ্য যাচাই করে দেখেছি বায়ু মন্ডলের কার্বণ ডাই অক্সাইড বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ায় বৃষ্টি মৌসুমে অতিবৃষ্টি বেড়ে গেছে। আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, কখনও হঠাৎ ভারী বর্ষণ আবার কখনও প্রকৃতি উষ্ণ হয়ে উঠেছে। এখন প্রতিদিন যে ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে গত কয়েক বছর তা দেখা যায়নি।

বিগত বছরগুলোতে আবহাওয়া স্বাভাবিক আচারণ করেনি। আবার বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বর্ষা তার রুপ বদলাতে পারে। বর্ষা বেশী হতে পারে, বিপদ বাড়তে পারে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের সূত্র মতে, ২০১৯ সালের জুন মাসে ১১৫ মিঃমিঃ, গত বছরের জুন মাসে ৩৫০ মিঃ মিঃ জুলাই মাসে ২২৩ মিঃ মিঃ ও আগস্ট মাসে ২৬৫ মিঃ মিঃ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এবার খুলনা উপকুলে জুন মাসের গত ২৮ দিনে ৪৬৭ মিঃ মিঃ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহেমদ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলেছেন, খুলনা উপকূলে জুন মাসে বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা ছিল ২৬৫ থেকে ৩২৫ মিঃ মিঃ, সেটি অতিক্রম করেছে। জুলাই মাসে ৩শ’থেকে ৩শ’৭৫ এবং আগস্ট মাসে ২শ’ ৬০ থেকে ৩শ’২০ মিঃ মিঃ বৃষ্টিপাত হতে পারে। জুলাই ও আগস্ট মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দু’টি মৌসুমী নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে।

খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ আমিরুল আজাদ জানান, এক থেকে দু’টি নিম্নচাপ হতে পারে, তবে একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। বৃষ্টির কারণে উপকূলীয় উপজেলা কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটা উপজেলায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি এবং জোয়ারের পানিতে এসব উপজেলা প্লাবিত হতে পারে। তবে আম্পান ও ইয়াসের মত ঘূর্ণিঝড়ের কোন সম্ভাবনা নেই। এ দু’টি দুর্যোগে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

খুলনা টাইমস/এমআইআর