তথ্য বিবরণী: আমদানি নির্ভরশীলতাই নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। সংবেদনশীল সময়ে এসকল পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে। তবে দেশের মানুষের কল্যাণে দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল থাকা প্রয়োজন। প্রতিনিয়ত সকল পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারদর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন সরকারকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অবগত রাখে। বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান তপন কান্তি ঘোষ বুধবার সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা পণ্য বিপণন মনিটরিং কমিটির মতবিনিময় সভায় এসকল কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশের মতো কৃষদের নিয়ে পরিকল্পিত সমবায়ের মাধ্যমে পণ্যের নিয়মিত সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব। এ পদ্ধতিতে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য যেমন নিশ্চিত হবে, একই সাথে উৎপাদিত পণ্য সরাসরি ক্রেতার হাতে আসবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বহুলাংশে হ্রাস পাবে। মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে ব্যবসায়ীরা আত্মসম্মানের সাথে ব্যবসা করবেন। সরবরাহ ব্যবস্থাপনার বৃহৎ ব্যত্যয় হলেই কেবল সরকার হস্তক্ষেপ করবে। মানুষের জীবনমান উন্নয়নের ফলে দামের পাশাপাশি পণ্যের মান ও ভেজালের বিষয় নিয়ে ভাববার সময় এসেছে। খাদ্যশৃঙ্খলে অপদ্রব্য ঢুকলে সবাই ক্ষতিতে পড়বে। জীবন এক দিনের নয়। পণ্যে ভেজালের জন্য দায়ী ব্যক্তির সন্তানও ভেজালের শিকার হতে পারে।
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারীরা উৎপাদন মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি নিরুৎসাহিত করার মাধ্যমে চাষীদের প্রণোদনা প্রদানের আহ্বান জানান । অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চলমান কার্যক্রম ও মনিটরিং সেল বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন সহকারী প্রধান মাহমুদুল হাসান।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড খুলনার উপপরিচালক মুঃ বিল্লাহ হোসেন খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, দাকোপ উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, দিঘলিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ হাফিজ আল আসাদ ও জেলা বাজার কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদারসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
