অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না : মৎস্য মন্ত্রী

0
167

টাইমস ডেক্স : মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।

তিনি শনিবার (২৭)মার্চ রাজধানীর সরকারী বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উপলক্ষ্যে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শ ম রেজাউল বলেন,স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদযাপনের সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এমন একটি চমৎকার সময়েও দেশের অভ্যন্তরে সা¤প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর জন্য একাত্তরের পরাজিত শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, কিন্তু তারা ভুলে গেছে এ বাংলাদেশ রাম-রহিমের বাংলাদেশ, এ বাংলাদেশ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের বাংলাদেশ। এ বাংলাদেশে ধর্মের ঊর্ধ্বে গিয়ে আমাদের একটি পরিচয় আছে। সে পরিচয়, আমরা বাঙালি, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নতুন করে যদি কেউ ধর্মীয় উস্কানী দিয়ে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি নষ্ট করতে চায় তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করা হবে। কোনভাবেই এ বাংলাদেশে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি নষ্ট হতে দেওয়া হবে না।
মন্ত্রী বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্ম অপর ধর্মে আঘাত করায় বিশ্বাস করে না, অপর ধর্মাবলম্বীদের অধিকারে হস্তক্ষেপ করায় বিশ্বাস করে না। এই শান্তির ধর্ম ইসলামের নাম ব্যবহার করে যারা ’৭১ সালে লুণ্ঠন করেছে, ধর্ষণ করেছে, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করেছে জাতি তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে।
তিনি বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি আবার মাথাচাড়া দেয়ে উঠার চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধী, সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠীর বিচার করেছেন। প্রয়োজনবোধে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্টকারীদের কঠোর বিচারের মুখোমুখি করা হবে। শান্তির বাংলাদেশকে কোনভাবে ধ্বংস করতে দেওয়া হবে না।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান রনি দত্ত, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বশির গাজী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ফিরোজ কিবরিয়া।