অভয়নগরে স্ত্রীর প্রতারণায় সর্বস্বান্ত সেলিম ফারাজী

0
158

অভয়নগর প্রতিনিধি:
অভয়নগরে স্ত্রী প্রতারণা করে স্বামীর লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। পাশাপাশি স্বামী কে বিভিন্ন হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে অভয়নগর উপজেলার রানাগাতী গ্রামে। জানা গেছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সেলিম ফারাজীর স্ত্রী কাজী নাছরিন হক প্রতারণা করে ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। সেলিম ফারাজীর পরিবার কে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে কাজী নাছরিন হক ও তার স্বজনরা। স্ত্রীর এমন আচারণ দেখে দিশেহারা স্বামী সেলিম ফারাজী। ভুক্তভোগী স্বামী সেলিম ফারাজী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ও তার স্বজনরা। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুস সেলিম ফারাজী অভয়নগর উপজেলার রানাগাতী গ্রামের মৃত হাকিম ফারাজীর ছেলে। অভিযুক্ত নাছরিন হক একই গ্রামের কাজী আলাউল হকের মেয়ে। প্রায় বিশ বছর আগে সেলিম ফারাজীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সন্তান না থাকায় স্ত্রী নাছরিনসহ তার পিতার পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরিয়া সম্পত্তি স্ত্রী নাছরিনের নামে লিখিয়া দেওয়ার দাবী করিয়া আসিতেছে। সম্পত্তি না লিখিয়া দিলে ৪০ লাখ টাকা দিতে হবে বলিয়া নাছরিন সহ তার পরিবরের লোকজন মানসিক ভাবে চাপ সৃষ্টি করে। সেলিম ফারাজী শাররীক ভাবে অসুস্থ্য নাছরিন সহ তার পরিবারের লোকজনের নির্যাতন সহ্য করিতে না পেরে জমি বিক্রয় করে। নগদ বিশ লক্ষ টাকা শালিকা চাপার হাতে দেয়। এখন আবার নাছরিন হক দাবি করছে যশোরে একটি ফ্ল্যাট কিনে দিতে নইলে গলায় ফাঁস দিবে নইলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিবে। সেলিম ফারাজী বলেন আমাকে ভাতের সাথে ভুল ঔষুধ খাওয়াচ্ছে এতে করে আমি আরো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। আমাকে চিকিৎসার কথা বলে নাছরিনের বোন চাপার বাসাতে নিয়ে যেতে চাইছে আমি ওখানে গেলে আমাকে ওরা মেরে ফেলবে। আমার যদি চিকিৎসা করাতে হয় তাহলে আমার রক্তের যারা আছে তাদের কাছে থেকে চিকিৎসা নিবো। আমি আমার ভাইপো ভাইজি দের সাথে কথা বলতে গেলে আমাকে সহ তাদের কে ও মারপিট করে নাছরিন ও তার বোন চাঁপা জামাই দিহীদার কবির। স্থানীয় দের সহযোগীতায় রানাগাতী ক্যাম্পে খবর দিলে আইসি নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে পরিবেশ শান্ত করে। আমি বাঁচতে চাই বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সেলিম ফারাজী। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ভুক্তভোগী সেলিম ফারাজী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মানবধিকার সংস্থার কাছে জোর দাবি করে বলেন সঠিক তদন্ত করে আমি এবং আমার পরিবারের সবাইকে রক্ষা করুন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় সিদ্দিপাশা ক্যাম্প ইনচার্য নজরুল ইসলাম জানান, ওই পরিবারে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হওয়ায় ক্যাম্পে একটি অভিযোগ করেছিলো। আমি উভয় পক্ষকে ডেকে মিমাংসা করে দিয়েছিলাম। এ ব্যাপারে ওয়ার্ড মহিলা মেম্বর নার্গীস বেগম জানান, ওদের পারিবারিক ঘটনা নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ হয়েছে কিš‘ কোনো মীমাংসা হয়নি। নাছরিন একজন লোভী মহিলা এখন তাকে যশোরে একটি ফ্ল্যাট না কিনে দিলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দিবে বলে মামলার ভয় দেখাচ্ছে। আসলে সেলিম ফারাজী ও তার পরিবারের লোকজন কঠিন বিপদের মধ্যে আছে। এমতবস্থায় সেলিম ফারাজী ও তার পরিবারের লোকজন কে সাহ্য করতে অতিদ্রত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।