খাজরায় পৈত্রিক জমিতে নির্মীত ঘর ভেঙ্গে উধাও!

0
293

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে পৈত্রিক ও ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধকৃত জমির উপর নির্মীত ঘর ভেঙ্গে উধাও করে দেওয়া হয়েছে। উপরন্ত ঘরের মালিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে গ্রেফতার ও হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাজরা গ্রামের মৃত পরশ উল্লাহ গাজী, মৃত মেছের গাজী ও মৃত কোনা গাজীর ছেলে ও ওয়ারেশগণ জানান, তাদের দাদা আদাড় গাজীরা ৪ ভাই ছিলেন। আদাড় গাজীর ৩ সন্তান পরশ উল্লাহ, মেছের ও কোনা গাজীর ওয়ারেশরা এসএ ৭৬, ১৭১, ৩৮, ৩৪ ও ১৩০ খতিয়ানে এবং হাল ৩৭, ৪১, ১৪৩, ১০৬ ও ৭১ খতিয়ানে, ৯৬০, ১৮৬, ১৯৯, ১২০৬ ও ১২৬৯ দাগে ১২ বিঘা জমির মালিক ছিলেন। দাদা এবং তার পুত্রদের আমল থেকে উক্ত জমি ভোগদখল করে আসছেন। আদাড় গাজী ও তার ৩ পুত্রের মৃত্যুর পর থেকে তাদের ওয়ারেশগণ জমিতে ভোগদখলীকার ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর ভোগদখলীকার থাকা অবস্থায় কয়েক ভাই এলাকা ছেড়ে কাজের সন্ধানে বাইরের জেলায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন এবং বাবর আলি কয়েক বছর আগে জীবন জীবিকার তাগিদে বাইরে গিয়ে বসবাস করলেও আঃ মজিদ ও আঃ বারিক পৈত্রিক ভূমিতে বসবাস করে আসছেন। তারা বাইরে থাকার সুযোগে এবং তাদের জমিজমা সংক্রান্ত জ্ঞানের অভাবের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আদাড় গাজীর অপর ৩ ভাইয়ের ওয়ারেশরা ক্রমে ক্রমে তাদের (আদাড় গাজী ওয়ারেশ) জমিতে দখল নিতে শুরু করেন এবং মাঠ জরিপে তঞ্চকি করে নিজেদের নামে জমি রেকর্ড করিয়ে নেন। জানতে পেরে আদাড় গাজীর ওয়ারেশরা ৩/৪ বছর আগে ৫০ বছরের খাজনা একসাথে পরিশোধ করেছেন। ৩ মাস পূর্বে গ্রামে ফিরে তাদের ভিটে বাড়ির (পূর্বে দখলীয়) জমিতে দখল নেয় এবং ঘেরা বেড়া দেয়। তখন প্রতিপক্ষ থানার অভিযোগ করলে পুলিশ উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখেন। তখন প্রতিপক্ষ তেমন গ্রহনযোগ্য কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। গত ২০জানুয়ারি নুরালী ও সবুর জমিতে ঘর উত্তোলন করেন। তখন প্রতিপক্ষ পুনরায় থানায় গেলে পুলিশ বেলা ১১ টার দিকে ঘটনাস্থানে পৌছে কাগজপত্র পর্যালোচনা করার কথা বলে কাজ বন্ধ করে দেন। তারা আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে কাজ বন্ধ রাখলে এদিন রাত্র ৯ টার দিকে প্রতিপক্ষ কাদের, সাদেক, হাসান, হোসেন, হাফিজুল, মোক্তার, মোক্তারের পুত্রের নেতৃত্বে বহিরাগতদের নিয়ে সেখানে হামলা চালিয়ে তাদের নির্মীত ঘর সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙ্গে ঘরের সকল সরঞ্জাম উধাও করে দেয়। এসময় নুরালীর স্ত্রী ও সবুরের স্ত্রীকে মারপিট, শ্লীলতা হানি এবং ঘরের থাকা নগদ লক্ষাধিক টাকাসহ সকল সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যায়। আহত দু’ নারীকে জায়গীরমহল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা আক্ষেপ করে বলেন, তারাই ঘর ভাঙ্গলো, তারাই মারপিট ও লুটপাট করলো আর উল্টো তারাই মামলা দিয়ে অসহায় পরিবারগুলোকে হয়রানী করে চলেছে। পরিাবারের সদস্যরা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশ নুরালীকে গ্রেফতার করেছে। অসহায় পরিবারগুলো হেনস্থা ও মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। এব্যাপারে আঃ কাদের দিংদের বাড়িতে গিয়ে তাদের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও বাড়ির লোকজন বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন।