আব্দুর রব লিটু, দেবহাটা: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের চর গোবিন্দপুর গ্রামে বসত বাড়ি দখলের উদ্দেশ্যে নামাজরত অবস্থায় বৃদ্ধা শ্বাশুড়ীকে পিটিয়ে জখম করার উঠেছে। এঘটনায় উপজেলার চর গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত শওকাত আলী মোল্যার স্ত্রী বৃদ্ধা আয়েশা বেগম (৭০) ও তার পুত্রবধূ হোসনেয়ারা (২৪) গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমানে সখিপুরস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। আহত আয়েশা বেগমের ছেলে রজব আলী জানান, আনুমানিক ৪০বছর পূর্বে আমার বড় বোন ছায়রা বেগমের সাথে আশাশুনি উপজেলার পাইথলি গ্রামের মৃত কেয়ামত বদ্দির ছেলে আব্দার বদ্দির সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পরে কিছু দিন নিজ ঠিকানায় বসবাসের পর শ^শুর বাড়ীতে এসে ঘর বাধে আব্দার বদ্দি। শ^শুর বাড়িতে এসে আব্দার বদ্দি মাছের ব্যাবসা শুরু করে। এক পর্যায়ে সে নিজের স্ত্রীকে ফুসলিয়ে তার ভাগের জমি বিক্রি করে দিয়ে ঢাকায় চলে যায়। দীর্ঘ দিন ঢাকাতে থাকার পর বছর খানেক আগে তারা বাড়িতে এসে হাতে পায়ে ধরে আমাদের জমির কিছু অংশ তাদেরকে ঘর বাধার জন্য চায়। আমরা তাদের কাকুতি মিনতি শুনে আমাদের ভাগের ১৮ শতক জমির ভিতর থেকে ৩শতক জমি তাদেরকে ঘর বাধার জন্য দেই। কিন্তু গত দুই মাস ধরে আব্দার ১৮শতক জমির সম্পূর্ন নিজের দখলে নেওয়ার বিভিন্ন পায়তারা করতে থাকে। সে এলাকার বিভিন্ন সাঙ্গ-পাঙ্কদেরকে নিয়ে আমাদের পরিবারের লোককে জমি দখল সহ খুন জখমের হুমকি দিতে থাকে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার সময় আমার মা ঘরের ভেতরে নামাজ পড়ছিলেন। এ সুযোগে আব্দার, তার ছেলে সাইদুল বদ্দি, পুত্রবধু রাবেয়া, ছোট মেয়ে আজমিরা, বড় মেয়ে আমেনা সহ কয়েকজন লোক জমি ও ঘর দখল করার উদ্দেশ্যে লাঠি, সাবল, দা, বটি সহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে আমার মায়ের ঘরে প্রবেশ করে নামাজরত অবস্থায় তাকে মারপিট করতে থাকে। এসময় আমার স্ত্রী হোসনেয়ারা ঠেকাতে গেলে তাকেও মারপিট করে। এক পর্যায়ে তাদের দুই জনকে গুরুতর জখম করে ঘরের দেওয়াল, দরজা, চাল ভাংচুর করতে থাকলে স্থানীয়রা ছুটে আসলে আব্দার তার পরিবারের অন্যদেরকে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা আমাদেরকে জানালে আমরা দ্রুত বাড়িতে ফিরে আমার মা ও স্ত্রীকে নিয়ে সখিপুর হাসপাতালে ভর্তি করি। তবে, সরেজমিনে যেয়ে অভিযুক্ত আব্দার বদ্দি সহ তার পরিবারের কাউকে না পাওয়ায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এঘটনায় দেবহাটা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।