৮ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়লেন রুহেল

0
314

খুলনাটাইমস স্পোর্টস ঃ শুরুর ধাক্কা সামলাতে চট্টগ্রামের ভরসা হয়ে ছিলেন অভিজ্ঞ তাসামুল হক। কিন্তু সিলেটের অনভিজ্ঞ পেসার রুহেল মিয়া যে এত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন কে জানতো! প্রথম স্পেলে দুই উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় স্পেলে এসে তাসামুলসহ চট্টগ্রামের শেষ ৬ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন তরুণ এই পেসার। গড়েছেন দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কোনো পেসারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। ১৮ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসারের বোলিং তোপে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের প্রথম দিনে ১০৬ রানে গুটিয়ে গেছে চট্টগ্রাম বিভাগ। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে মাত্র ২৬ রানে ৮ উইকেট নিয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাত্র তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামা রুহেল। ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কোনো পেসারের এটিই সেরা বোলিং ফিগার। রুহেল ভেঙেছেন সাত বছর আগে গড়া তালহা জুবায়েরের রেকর্ড। ২০১২ সালে রংপুরের বিপক্ষে ঢাকা মেট্রোর পেসার তালহা ৩৫ রানে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। ৫০-এর চেয়ে কম রান খরচ করে ৮ উইকেট নিতে পারেননি আর কোনো পেসার। ম্যাচের চতুর্থ ওভারে পিনাক ঘোষকে ফিরিয়ে এদিন শিকার শুরু করেন রুহেল। পরের ওভারে ফিরিয়ে দেন আলভি হককে। ৮ ওভারের প্রথম স্পেলে রান দেন ১৫। তাসামুল হক ও ইরফান শুক্কুরের ব্যাটে মাঝে প্রতিরোধ গড়েছিল চট্টগ্রাম। তাদের ৪১ রানের জুটি ভাঙেন রেজাউর রহমান, ফেরান ২১ রান করা ইরফান শুক্কুরকে। এই জুটি ভাঙার পর আবার রুহেলের হাতে বল তুলে দেন সিলেট অধিনায়ক অলক কাপালী। দ্বিতীয় স্পেলের দ্বিতীয় ওভারে এই পেসার ফেরান ২১ রান করা তাসামুলকে। লাঞ্চ বিরতির পর হয়ে ওঠেন আরও বিধ্বংসী। এক ওভারেই তুলে নেন সাজ্জাদুল হক ও মাসুম খানের উইকেট। পরের ওভারে আবারও জোড়া আঘাত। এবার টানা দুই বলে ফেরান ইরফান হোসেন ও রনি চৌধুরীকে। নোমান চৌধুরীর সাথে শেষ উইকেটে ২১ রান যোগ করা শাখাওয়াত হোসেনকে বোল্ড করে এরপর অল্প রানে গুটিয়ে দেন চট্টগ্রামকে। দ্বিতীয় স্পেলে ৬.১ ওভারে ১১ রান খরচায় রুহেল পান ৬ উইকেট।