২ মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে কাউন্সিলর মঞ্জু

0
233

খুলনাটাইমস: অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র ম-ল তার এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে তার গাড়ি চালক সাজ্জাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার দুপুরে মঞ্জুকে আদালতে হাজির করে পুলিশ দুই মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত দুই মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে র‌্যাব-৩ এর নায়েব সুবেদার ইব্রাহিম হোসেন গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ওয়ারি থানায় মঞ্জুর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে আলাদা দুটি দায়ের মামলা করেন। র‌্যাব রাতেই কাউন্সিলর মঞ্জুকে থানায় হস্তান্তর করে বলে ওয়ারি থানার এসআই মিলন কুমার চ্যাটার্জি জানান। তিনি বলেন, অস্ত্র মামলায় আসামি করা হয়েছে কেবল মঞ্জুকে। আর মাদক মামলায় মঞ্জুর সঙ্গে তার গাড়িচালক সাজ্জাদও আসামি। ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মঞ্জু ওয়ারি থানা আওয়ামী লীগের সদস্য। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের গত কমিটিতেও সদস্য হিসেবে ছিলেন তিনি। টিকাটুলীর রাজধানী সুপার মার্কেট ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেটে চাঁদাবাজি, অবৈধ দখলদারির পাশাপাশি মাদকের কারবারের অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। অবশ্য তিনি নিজে বরাবরই তা অস্বীকার করেছেন। সম্প্রতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী শুদ্ধি অভিযান শুরু হলে নতুন করে তার নাম সামনে আসে। সিটি করপোরেশনের সভায় অনুপস্থিতির কারণে এ সপ্তাহের শুরুতে দক্ষিণ সিটির যে ২১ কাউন্সিলরকে কারণ দর্শাও নোটিস পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে মঞ্জু একজন। কাজী মো. রনি নামে রাজধানী সুপার মার্কেটের একজন ব্যবসায়ী গত বুধবার ওয়ারী থানায় একটি মামলা করেন। তার অভিযোগ, কাউন্সিলর মঞ্জু তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং ওই টাকা না দেওয়ায় বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন। র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, মামলার বিষয়ে জানার পর অনুসন্ধান চালিয়ে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ পান তারা। এরপর গত বৃহস্পতিবার দুপুরে টিকাটুলিতে তার অফিস ও বাসায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় দুটি পিস্তল, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল ও যৌন উত্তেজনা বর্ধক ওষুধ। অভিযানে কাউন্সিলর মঞ্জুর বাড়ি থেকে তার গাড়িচালক সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয়।