“হিন্দু মুসলিমের সম্প্রীতি বজায় রাখতে শেষ রক্ত দিয়ে হলেও আমি আপনাদের পাশে থাকবো” এমপি বাবু

0
467

ওবায়দুল কবির(সম্রাট):

হিন্দু মুসলিম একত্রিত ভাবে বসবাস সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন হল খুলনা জেলা।আমার নির্বাচিত এলাকা কয়রায় হিন্দু মুসলিমরে সাম্প্রতি বজায় রাখতে শেষ রক্ত দিয়ে হলেও আমি আপনাদের পাশে থাকবো ইনশাল্লাহ।আমি আপনাদের পাশেছিলাম ‘সুখের দিনে কয়রা বাসির সাথে আছি, দুঃখের দিনে আমার জীবনে অন্ধকারের নেমে আসলেও, সেদিনও কয়রাবাসির সাথে থাকবো। গত ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রশাসন ও পূজা উৎযাপন পরিষদ, আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষ্যে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে কয়রা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাড. অম্বিকা চরন সানা’র সভাপতিত্বে ও সম্পাদক দীলিপ বৈরাগী ও অধ্যাপক আশুতোষ রায়ের পরিচালনায় ,প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন কয়রা-পাইকগাছার সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাম্প্রদায়িক দল ।এই দলে সকল ধর্মের মানুষ একসাথে বসবাস করে আসছি ।‘আওয়ামী লীগ সরকার ধর্ম নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করছে, এ জন্য দেশের সকল ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারছে। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের কোন সম্প্রদায়ের মানুষ নির্যাতিত হবে না।জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের একজন মানুষ জিবিত থাকতে এদেশে আর কোন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে দেবে না ।এসময় তিনি আরও বলেন,হিন্দু মুসলিমের এই সাম্প্রীতি বজায় রাখতে শেষ রক্ত দিয়ে হলেও আমি আপনাদের পাশে থাকবো। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস. এম. শফিকুল ইসলাম, ভাইস-চেয়ারম্যান কমলেশ চন্দ্র সানা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) নূরে-ই আলম সিদ্দিকী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জাফর রানা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাঃ হুমায়ূন কবীর,কয়রা উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি মোস্তফা শফিকুল ইসলাম, শিক্ষক রনজিত মÐল, পূজা উৎযাপন পরিষদের মৃনাল কান্তি ঘোষ, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মহাশীষ সরদার,ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু, প্রমূখ। এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপজেলার ৫৪টি পূজা মন্দিরের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধাগন, সাংবাদিক, শিক্ষক ও সুধীজন। সংসদ সদস্য উপজেলার ৫৪ টি পূজা মন্দিরের প্রত্যেকটিতে ৮ হাজার টাকা সরকারি অনুদান প্রদান করেন। এসময় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বিভিন্ন পূজা মন্দিরে ৫৪ হাজার ,উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ৫৪ হাজার ও ভাইস চেয়ারম্যান২৭হাজার, কয়রা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাড. অম্বিকা চরন সানা ২৭হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন।